ঝিনাইদহে এক ভিক্ষুক পিতার অসহায় ছেলের গল্প
পিতা ভিক্ষা করে টাকা জোগাড় করবেন। আর সেই টাকায় কেনা হবে অপারেশনের ওষুধ ও হাড় জোড়া দেওয়া কাজে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল টুলস। টাকা জোগাড় হয়নি বলে নয়নের অপারেশনও হচ্ছে না। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের ৫ নং সাধারণ বেডে নয়ন অপারেশনের জন্য প্রহর গুনছে।
শিশু নয়ন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তার পিতা ভিক্ষা করে সংসার চালান। নয়নের মা ছায়েরা বেগম জানান, দুই সপ্তাহ আগে নয়ন তালগাছে উঠতে গিয়ে পড়ে তার ডান পায়ের হাটুর উপর থেকে ভেঙ্গে যায়। হাসপাতালে ভর্তির পর তার পায়ে টানা বেধে রাখা হয়েছে।
চাচা আব্দুল লতিফ জানান, ওষুধ কেনার মতো তাদের কোন সামর্থ নেই। তার ভাই নওশের আলী ভিক্ষা করে যা পারছেন তাই ছেলের অপারেশনের জন্য জমা করা হচ্ছে। হাসপাতালে একমাত্র ভাইয়ের মাথার কাছে বসে বোন শেফালী খাতুন কাঁদছেন কি ভাবে চিকিৎসার টাকা জোগাড় হবে ?
হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, পরিবারটি একেবারেই হতদরিদ্র। ছেলেটা পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পড়ে আছে। সমাজের বিত্তবানদের নয়নের পাশে দাড়ানো উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হাড়জোড় চিকিৎসক ডাঃ জিএম মনির জানান, তারা নয়নকে পর্যবেক্ষনে রেখেছেন। সিরিয়াল শেষ হলে দ্রুত তার পায়ে অপারেশন করা হবে।
নয়নের পরিবারকে কেও সাহায্য করতে চাইলে তাদের ০১৮৪৬-০২০৬৩৭ নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন।