ঝিনাইদহের শৈলকুপা নৌকার কান্ডারী আব্দুল হাই
২০০১ থেকে ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনে নৌকার কান্ডারী হয়ে আছেন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ ও ৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান পরাজিত হন। এরপর ২০০১ সালে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান আব্দুল হাই। তিনি ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে পরাজিত করে আসনটি উদ্ধার করে খুলনা বিভাগে চমক দেখান। এরপর ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারকে প্রায় ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজীত করেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি উদ্ধার করে তিনি দলের মধ্যে আলাড়ন সৃষ্টি করেন এবং এরপর তাকে আর পিছোন ফিরে তাকাতে হয়নি। এবারও এ আসনটির তৃনমূলের নেতা কর্মীদের আশা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হাতেই থাকবে নৌকার হাল। সেই লক্ষ্যে তিনিও চষে বেড়াচ্ছেন শৈলকুপার ওলিগোলি। সরকারের উন্নয়নের কথা বলে নৌকা প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করছেন ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই। কয়েক দিন আগে উপজেলা পরিষদের হল রুমে অধ্যক্ষ পরিষদের এক মিটিংএ তিনি শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিতে আহবান জানান। তৃনমূলের নেতা ৮নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগরে সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, গত ৪ জুলাই বর্ধিত সভায় তৃনমূলের সকল নেতাকর্মী রেজুলেশনের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাইকে সমর্থন করেন। তার আশা এবারও তিনিই হবেন শৈলকুপায় নৌকার কান্ডরী। তার হাতেই থাকবে নৌকার হাল। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এম হাকিম আহমেদ বলেন, শৈলকুপার সকল তৃনমূল নেতাকর্মী বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এর সাথে ঐক্যবদ্ধ। সকল শ্রেনীপেশার মানুষ তার সাথে আছে। তার আশা জেলা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল হাই শৈলকুপা সহ ঝিনাইদহের ৪টি আসন এবারও আওয়ামী লীগকে উপহার দিবেন।
শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তোফা আরিফ রেজা মন্নু বলেন, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীকে পরাজিত করে এ আসনটি উদ্ধার করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। তখন থেকেই তিনি শৈলকুপা আসনে নৌকার কান্ডারী হয়ে আছেন। তার আশা তৃনমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে এবারও তিনিই হবেন নৌকার কান্ডারী। শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা বলেন, আমরা তৃনমূলেলর সকল নেতাকর্মী ২০০১ সালে আব্দুল হাইকে সাথে নিয়ে শৈলকুপা আসনটি উদ্ধার করি। তারপর যে কয়টি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে নৌকার কান্ডরী হিসাবে তিনিই আছেন এবং এবারও তিনিই থাকবেন বলে তার আশা। এ আসনে এবারও বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেবেন বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শৈলকুপা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বলেন ২০০১ সালে দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি উপজেলার সকল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে আসনটি উদ্ধার করতে সমর্থ হন। তারপর থেকে এ আসনে নৌকার কান্ডারী হয়ে তিনি আছেন। তিনি আরো জানান, আসনটি উদ্ধারের পর থেকে ক্রমান্বয়ে এ আসনে নৌকা প্রতীকের ভোট ব্যাংক বৃদ্ধি পেয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল অংগ সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তার সাথে ঐক্যবদ্ধ। দল মনোনয়ন দিলে এবারও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে তার আশা।