মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে ১৫টি আয়াত
আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আর অন্যসব প্রাণী ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপযোগী করে; মানুষের সুবিধার্থে। সেজন্যই বলা হয়Ñ মানুষ ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব। কোরআনে মানুষ সৃষ্টির রহস্য, পদ্ধতি ও আকৃতি সম্পর্কে অসংখ্য আয়াত বর্ণিত হয়েছে। এমন সাবলীল কিছু আয়াত হলোÑ
১. ‘তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষকে।’ (সূরা রহমান : ৩)।
২. ‘যিনি সৃষ্টি করেন, তারপর সুঠাম করেন।’ (সূরা আলা : ২)।
৩. ‘তাকে (মানুষকে) সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে-স্খলিত পানি থেকে।’ (সূরা তারিক : ৬)।
৪. ‘তারপর সে হলো একটি রক্তপি-, তারপর তিনি আকৃতি দান করলেন ও পূর্ণাঙ্গ করলেন।’ (সূরা কিয়ামাহ : ৩৮)।
৫. ‘আর আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায়-জোড়ায়।’ (সূরা নিসা : ৮)।
৬. ‘তারা কি অংশীদার বসায় তাকে, যে কিছুই সৃষ্টি করে না? বরং তাদেরই সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সূরা আরাফ : ১৯১)।
৭. ‘অথচ তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন স্তরে-স্তরে।’ (সূরা নুহ : ১৪)।
৮. ‘যিনি সৃষ্টি করেন তিনি কি তবে তার মতো, যে সৃষ্টি করে না? তবু কি তোমরা মনোযোগ দেবে না?’ (সূরা নাহল : ১৭)।
৯. ‘সৃষ্টি করেছেন মানুষকে এক রক্তপি- থেকে।’ (সূরা আলাক : ২)।
১০. ‘এক শুক্রকীট থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি তাকে সুসামঞ্জস্য করেছেন।’ (সূরা আবাসা : ১৯)।
১১. ‘সুতরাং মানুষ ভেবে দেখুক, কীসে থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সূরা তারিক : ৫)।
১২. ‘আমরা নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করেছি শ্রমনির্ভর করে।’ (সূরা বালাদ : ৪)।
১৩. ‘তোমাদের কি আমি সৃষ্টি করিনি এক তুচ্ছ জলীয় পদার্থ থেকে?’ (সূরা মুরসালাত : ২০)।
১৪. ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শ্রেষ্ঠ-সুন্দর আকৃতিতে।’ (সূরা তিন : ৪)।
১৫. ‘যদি তিনি চান তবে তিনি তোমাদের গত করে দেবেন এবং নিয়ে আসবেন এক নতুন সৃষ্টি।’ (সূরা ফাতির : ১৬)।