মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর-জিন্নানগর প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় সড়কের মধ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারি চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সড়কও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় পিচঢালা সড়কের পরিমাপ ৪০৫.৬৭ কিলোমিটার। যেখানে ৪টি জাতীয় সড়কের পরিমাপ ৭৫.৫৬ কিলোমিটার, এছাড়া ২টি আঞ্চলিক সড়ক ৫০কিলোমিটার, একটি এডিপি সড়ক ৩.৪৭ কিলোমিটার এবং ৪টি জেলা সড়কের দৈর্ঘ ২৭৬.৬৪ কিলোমিটার। জেলার মহেশপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগের এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ন আঞ্চলিক সড়ক। সড়কটি ঠিক কবে কোন সময় পিচঢেলে পাকা করন করা হয়েছে অধিকাংশ লোকজনই ভুলে গেছে। তবে বিগত সরকারের আমলে তৈরি করা হয়েছে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির বিটুমিন, পাথর খোয়া অনেক আগেই উঠে গেছে। বোঝার উপায় নেই পাথর খোয়া আর বিটুমিনের তৈরি সড়ক। সড়কের মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন জায়গায় ইটের গুড়া দিয়ে সংস্কার করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। যানবহন চলাচলে সময় সাইড দিতে গেলে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। অল্প সময়েই নষ্ট হচ্ছে যানবহনের যন্ত্রপাতি।
গুড়দাহ বাজারের ব্যবসায়িক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিন্নানগর-দত্তনগর ভায়া মহেশপুর, দত্তনগর ভায়া জীবননগর উপজেলার সাথে যোগাযোগের এশটিমাত্র গুরুত্বপূর্ন সড়ক। সড়কটি ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার ব্যবসায়ি, কর্মজীবি লোকজন প্রতিদিন মহেশপুর, পাশে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দুইটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন সড়কটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে।
গাড়িচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪০/৪৫ মিনিট সময়ের সড়কে আড়াই তিন ঘন্টা সময়ে পৌছানো সম্ভব হয়না। যাত্রিগন সঠিক সময়ে তাদের লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনা। দ্রুত গাড়ি নষ্ট হচ্ছে।
প্রতিদিনই সড়কে ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটতেই আছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য অর্ধশতাধিক গ্রামের হাজার হাজার লোকজনের প্রানের দাবি হয়ে উঠেছে। বিষয়টির দিকে উর্ধ্বতন পক্ষের বিশেষ নজর আশা করছে ভুক্তভোগি লোকজজন।