মহেশপুর

ঝিনাইদহে প্রাইভেই হাসপাতালে আবারও নবজাতকের মৃত্যু

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মহেশপুরের খালিশপুর প্রাইভেট হাসপাতালের কতৃপক্ষের অবহেলায় আবার ও নবজাতকের মৃত্যু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

।মহেশপুর উপজেলার গোয়ালহুদা গ্রামের শাহিনুর রহমানের স্ত্রী সোমবার ১৯/০৮/১৮ ইং তারিখে খালিশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে ডাঃ নূর নবীর মাধ্যমে সিজার করে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন কিন্তু নবজাতকের শারিরীক অবস্থা ভাল না থাকার পর ও ক্লিনিক কতৃপক্ষ নবজাতককে অন্যত্র রেফার্ড করে না পরবতীর্তে যশোরের আ-দ্বীন শিশু হাসপাতালে নবজাতকটিকে নিলে ১৯/০৮/১৮ইং তারিখে নবজাতকটি মারা যায় এবং মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে খুব গোপনে নবজাতক টি কে সে দিন রাত্রে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য খালিশপুর প্রাইভেট হাসপাতালের অনিয়মের অন্ত নেই। টাকা ও ক্ষমতার জোরে সব এরা পার পেয়ে যায় আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে। গত ৫/০৮/১৮ ইং শুক্রবার ওয়ার্ড বয় শাহিনের বিরুদ্ধে ডাক্তার সেজে অপারেশন করার সময় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে তৎক্ষাণিক খালিশপুর প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ওয়ার্ড বয় শাহিন। পরবতীতে ক্লিনিক মালিক খোকন হাজী ওসি জায়াদুল লস্কারের কাছে সার্বক্ষনিক নার্স ও ডাক্তার থাকবে মর্মে মুসলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

এছাড়া খালিশপুর প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালনাকারী খোকন হাজী ও মোঃ হামিদ এর বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ইতিপূর্বে একই স্থানে দুইটি ক্লিনিক সিলগালা করে দেয় কর্তৃপক্ষ গত ২১/০৫/১৭ সালে। লাইসেন্স না থাকায় এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর জন্য সিলগালা করে দেয় আব্দুল আজিজ প্রাঃ ক্লিনিক এবং ২০১৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমান আদালত লালন শাহ ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং অপ-চিকিৎসায় রোগী ও নবজাতক মারা যাওয়ার কারণে ক্লিনিকটি সীলগালা করে দেয় এবং অপচিকিৎসা এবং লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক পরিচালনার জন্য ক্লিনিক মালিক খোকন হাজীকে ভ্রাম্যমান আদালত ১ মাসের কারাদন্ড এবং অনাদায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে ভবিষ্যতে আর ক্লিনিকের ব্যবসা করবো না এই মর্মে মুচলেকা দেয় কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে খালিশপুরে সেই একই স্থানে খালিশপুর প্রাইভেই হাসপাতাল নামে আবার নতুন ক্লিনিকের সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে ব্যবসা করছেন খোকন হাজী ও মোঃ হামিদ।

আরও জনা যায়, বর্তমানে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে কোন হাইড্রোলিক টেবিল নেই, মেডিকেল ডাক্তার নেই, ডিপ্লোমা কোন নার্স নেই, ইমাজেন্সি লাইট নেই, অজ্ঞান করার জন্য কোন এ্যনেসথেশিয়া মেশিন নেই, রক্ত বন্ধ করার জন্য ডায়াথামি মেশিন নেই।

খালিশপুরের মনোয়ার হোসেন জানান, খোকন হাজীর ক্লিনিক ইতিপূর্বে দুইবার বাচ্চা মরে যাওয়ার জন্য বন্ধ হয়েছে, সে জেল ও খেটেছে, কি মধু আছে এ ক্লিনিকের ব্যবসায় আল্লায় জানে, সে আবার নতুন করে নতুন নামে ক্লিনিক খুলেছে।

এ ব্যাপারে ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ হামিদ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে সব মিথ্যা,রোগী অবস্থা খারাপ ছিল ডাঃ নূর নবী অপারেশন করে পরবর্তীতে নবজাতকের অবস্থা খারাপ হলে আমরা যশোরে রেফার্ড করি,সেখানে বাচ্চাটি মারা যায় আমাদের এখানে কোন দোষ নেই। আমি এখন ব্যস্ত আছি বলে মোবাইল রেখে দেন।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্বাশতী শীলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার তদারকির অবহলার কারনে সিলগালা হওয়া ভুইফোঁড় ক্লিনিক গুলো নামে বেনামে আবার গড়ে উঠেছে। খুব শিঘ্রই মোবাইল কোটের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button