জাহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহের মহেশপুরে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পূর্বেই হত্যা করেছেন এক প্রেমিক জুগল।
জানাগেছে উপজেলার আজিবাড়ি নওয়াদাগ্রামের মৃত খাইরুল ইসলামের স্ত্রী রেক্সনা খাতুন ও একই গ্রামের মহর আলীর দীর্ঘ দিনের অবৈধ্য প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের ফসল হিসাবে রেক্সনার গর্ভে একটি অবৈধ্য আসে। সন্তান ধারনে ৫-৭ মাস বয়সের হয়েছিলো। গত ২৪শে নভেম্বর ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত করে কেক্সনা।
গর্ভপাতের পর ২৯শে নভেম্বর ঘরোয়া ভাবে স্থানীয় মাতব্বর কালু মন্ডলের পুত্র জামির, দবির উদ্দীনের ছামছুল হক, ওয়াজেল হোসেনের পুত্র জিল্লুর রহমান, মল্লিক মন্ডলের পুত্র বাবলু হোসেন ও ইয়াহুদ এর পুত্র আতিয়ার রহমান শালীশে মহর আলীকে অভিযুক্ত করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এবিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর বাবলু রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন গর্ভপাতের বিষয়টি আমি শুনেছি। শালিশের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের প্রতিনিধি ১লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি তাদের বুঝিয়ে বলে ৮০ হাজার টাকায় রাজি করায়।
রেক্সনার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি সাংবাদিদের সাথে কথা বলতে রাজি হয় নি। রেক্সনার খাতুনের দেবরের স্ত্রী লাকীয়া খাতুন জানান ঘটনাটি সত্য নয়।
মহর আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি কোন অবৈধ্য কাজ করিনি। সে আমার ভাবি সম্পর্কে হয়। একদিন আমাকে পেট কামঢ়ানোর ঔষধ এনে দিতে বলে আমি তার কথা মত ২টি পেট কামড়ানো ঔষদ এনে দিয়েছিলাম। এখন তারা বলছে উক্ত অবৈধ্য সন্তান আমার। গ্রাম শ্বালীশে তারা আমাকে ৮০ হাজার টাকা জরিমান করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সন্তান নষ্ট করার বিষয়টি শুনেছি। তবে এব্যাপারে শালিশ হয়েছে কি না আমার জানা নেয়।
মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানান নেয়। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।