ঝিনাইদহে গৃহবধূর পরকীয়ায় ভাঙ্গছে সংসার
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পরকীয়ায় প্রেমিকের প্রতারনার কারনে সংসার ভাঙ্গতে বসেছে ৪ সন্তানের জননী অদ্যক্ষ ‘জো’ নামের এক গৃহবধুর। বিয়ের আশ^াস দিয়ে বাড়িতে এনে পালিয়ে গেছে প্রতারক পরকীয়া প্রেমিক লম্পট ফারুক হোসেন (২৬)। লম্পট ফারুক হোসেন সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ ফকিরের ছেলে।
প্রতারনা শিকার গৃহবধু বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর সংসার জীবনে ২ ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়ে ও এক ছেলের বিয়ে হয়েছে। তাদের সংসারেও সন্তান আছে। ছোট ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তারা পূর্বে গ্রামের অন্য পাড়ায় বসবাস করত। এই পাড়ায় ৮ বছর স্বামী সন্তান বিয়ে বসবাস করছেন। ফরুক হোসনে তার সম্পর্কে দেবর হন।
পাশাপাশি তাদের বাড়ি। সে আমাদের বাড়িতে গেলে বা কথা বললে বাড়িওয়ালা (স্বামী) সন্ধেহ করত, গোপনে পাহারা দিতে। এ নিয়ে সংসারে প্রায়ই মনোমালিন্য হত। এ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর ফারুকের সাথে বিয়ের আশ^াসে তার ঘরে উঠে বসি। তবে তার সাথে পূর্বে কোন পরকীয়া সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন। ফারুকের বাড়িতে ৫টি বিয়ের দাবিতে অনশন করার পর, ফারুকের পরিবারের লোকজন বিয়ের জন্য বাজার গোপালপুর কাজীর নিকট নিয়ে যান। কিন্তু ফারুক সেখানে উপস্থিত না হয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফারুকের মন্তব্য জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
তবে ফারুকের পিতা বলেন, আমার ছেলে অ-বিবাহীত। তার বয়স ২৪/২৫ বছর। শুধু ছেলেকে দোষারোপর করলেই হবেনা। বলবো উভয়েরই দোষ রয়েছে। তবে আমি বলবো মেয়েটির স্বামী সংসার রয়েছে, তারপরও এমন ঘটনার জন্য মেয়েটিই বেশি দায়ি। আমি উভয়ের কাছে শুনে সম্মতিতে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম। সেজন্য বাজার গোপালপুরে কাজির নিকট নিয়ে গেলে মেয়ের ভাইও লোকজন মেয়েটিকে নিয়ে গেছে। আমার ছেলেটিও গত তিনদিন বাড়িতেও যোগযোগ করছেনা। তবে কোথায় আছে জানা নেই।
বিষয়টি এলাকায় আলোচনার বস্তুতে পরিনত হয়েছে।