ঝিনাইদহে সড়ক মেরামতে কোটি টাকা ব্যয়, কাজ কিছু্ই হয় না
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন। এছাড়া বেনাপোল স্থলবন্দর ও মংলা নৌবন্দরের সকল মালামাল বহন করা হয় এই মহাসড়কগুলো দিয়ে।
তবে দীর্ঘদিন ঝিনাইদহের মহাসড়কগুলো মেরামত না করায় সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। কিন্তু সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এ গর্ত মেরামতের নামে লুটছে কোটি কোটি টাকা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, তাদের আওতাধীন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ও ১১টি বিভিন্ন রুটে সড়ক রয়েছে ৪০৬ কিলোমিটার। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে যাওয়া ৪টি মহাসড়ক ও ১১টি বিভিন্ন সড়কের ভাঙা ও গর্ত মেরামত করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এ কাজের আওতায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি কোনো না কোনো সড়কের গর্ত মেরামতে কাজ করতে দেখা যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিজস্ব কর্মীদের। তবে গর্ত ঝাড়ু দিয়ে তার উপর পাথর ও পিচ ঢেলে রোলার করলেই কাজ শেষ।
স্থানীয় এক ভ্যান চালক অভিযোগ করে বলেন, ‘গর্ত মেরামতের সপ্তাহ না পেরুতেই ফিরে আসে আগের অবস্থানে। অনেক স্থানে ধুলার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও অটো বা ভ্যানচালকদের। তাই সরকারি টাকা অপচয় না করে রাস্তাগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে ভালোভাবে মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তার গর্ত মেরামত করা হচ্ছে। মেরামতের পর পরই ভাড়ি যানবাহন চলাচল করলে উঠে যাচ্ছে পিচ ও পাথর। তাহলে এ গর্ত মেরামত করার কী দরকার?’
পথচারী রবিউল বলেন, ‘সড়কে কাজের নামে নয়ছয় করা হচ্ছে। তাই সড়কে অযথা অপচয় না করে ভালোভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে সড়ক উন্নয়ন করলে সরকারের কোটি টাকা খরচ হতো না।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কগুলোর কয়েকটি স্থানে মেরামত করা হয়েছে। বাকি স্থানগুলোতে দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে।