ঝিনাইদহ-১ এ হিন্দু ভোটই ফ্যাক্টর
নিবার্চনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইও শেষ হয়েছে রোববার। ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপির মানবাধিকার-বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওহাবসহ সাতজন। দুনীির্ত দমন কমিশনের করা একটি মামলার দন্ড থাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওহাবের মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রিটানির্ং অফিসার।
এই আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থীর বতর্মান সংসদ সদস্য, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা তিন দফায় এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্ আবদুল হাই জয়লাভ করেন। ফলে প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই ও তার কর্মীর-সমথর্করা নিবার্চনকে সামনে রেখে নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে শক্তি জানান দিচ্ছে।
অপরদিকে বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থী এখন দুইজন। তাদের মধ্যে দলের হাইকমান্ড কাকে চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।
তবে প্রার্থী যেই হোক, বিএনপিও চায় পরাজয়ের ইতিহাস মুছে যেকোনো মূল্যে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। তবে আগের নিবার্চনের ভোটের হিসাব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বড় দুই দলের মধ্যে এই আসনে ভোটের ব্যবধান ছিল খুবই সামান্য। ফলে আগামী নিবার্চনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি যে দলই বিজয়ী হোক না কেন, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এই আসন থেকে জামায়াত ও জাতীয় পাটির্র কোনো প্রার্থী নেই। ফলে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থাকায় এবার জামায়াতের ভোট ধানের শীষে পড়বে বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয় ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আসনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট বিজয়ের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দঁাড়াবে। এখানে প্রায় আড়াই লাখ ভোটের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার ভোটার রয়েছে হিন্দু নারী-পুরুষ। টানা তিন দফায় এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রাথীর্ আবদুল হাই জয়লাভ করেন। তবে এবারের নিবার্চনে যে দলের প্রার্থী হিন্দু ভোটারদের টানতে পারবে, সেই দলের প্রাথীর্ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।