সুস্বাস্থ্য ও রূপচর্চায় আমলকীর ব্যবহার
ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক :
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকি ফলের জুড়ি নেই। এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে আমলকি ফলটি বিবেচিত। এবার চুলের পরিচর্যায় আমলকীর ব্যবহার কিছু ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক।
০ কাঁচা আমলকীর ১ কাপ রস বের করে নিয়ে এর সঙ্গে ১টা বড় পেঁয়াজের রস এবং ১ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে জ্বাল করে নেই। এরপর ঠাণ্ডা হলে একটি বোতলে রেখে দেই। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে সঙ্গে চুলের মসৃণতা বজায় থাকবে।
০ শুকনা আমলকী ১ কাপ, ১ কাপ শিকাকাই সারারাত একটি লোহার পাত্রে ভিজিয়ে রাখি। পরের দিন ভালো করে জ্বাল দিয়ে রস ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নেই। এ রসটা বিলি কেটে সারা চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যাবে।
০ চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমলকী খুবই উপকারী। কাঁচা আমলকী, নারকেল কুড়ানো, মেথি গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পুরো স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এতে করে চুল গজাতে সাহায্য করবে এবং চুলের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি চুল নরম ও কোমল থাকবে। রুক্ষতা কমে যাবে এর ব্যবহারের ফলে।
০ শুকনা আমলকী ১ কাপ ১ কাপ, মেথি, ১ কাপ মৌরি নিয়ে নারকেল দুধে ভিজিয়ে রাখি। এরপর ব্লেন্ড করে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
০ ১ চা-চামচ আমলকী, ২টা বহেরা ও ২টা হরীতকী রাতে ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখি। সকালে ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যাদের অ্যাকনে বেশি হয় তারা যদি নিয়মিত খান তাহলে ব্রণ কমে যাবে। নিয়মিত সেবনে পেট পরিষ্কার থাকার কারণে ত্বকের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। চুলের খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে আমলকীর গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না।