বমিভাব কমাবে উপকারী উপাদান
ঝিনাইদহের চোখঃ
বহু কারণেই বমিভাব দেখা দিতে পারে।
দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতা, অসুস্থতাজনিত দুর্বলতা, প্রবল জ্বর, পেটের সমস্যা হাই পাওয়ারের ওষুধ সেবনসহ বিভিন্ন কারণে বমিভাবের প্রভাব তৈরি হয়। এছাড়াও আবহাওয়াজনিত কারণে ও ভ্রমণের ফলে এমনটা হতে পারে।
বিরক্তিকর এই সমস্যাটি কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ গ্রহণে সাময়িক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তবে বমিভাবের প্রভাব দূর করতে কিছু খাদ্য উপাদান চমৎকার সাহায্য করে থাকে। জেনে রাখুন এমন কয়েকটি উপাদানের নাম।
বিস্কুট
বিস্কুটের মাঝে টোস্ট বিস্কুটের লবনাক্ততা পাকস্থলীকে শান্ত রাখতে এবং অ্যাসিডকে শোষণ করতে কাজ করে। হুটহাট বমিভাব দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকলে হাতের কাছে এক-দুইটি টোস্ট বিস্কুট রাখার অভ্যাস করতে হবে।
লেবু
বমিভাব এবং সকালের অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি (মর্নিং সিকনেস) দূর করতে করতে সাইট্রাস ঘরানার ফলের মাঝে লেবু সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করে। বমিভাবের সমস্যা দূর করতে লেবুর রসের শরবত অথবা শুধু লেবুর রস লবণের সাহায্যে পান করতে হবে। এছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি তাৎক্ষনিক শারীরিক অসুস্থতাকে কমিয়ে ফেলতেও কাজ করে।
আদা
অন্যান্য যেকোন উপাদানের মাঝে আদা সবচাইতে বেশি ভালো কাজ করে বমিভাবের প্রতিষেধক হিসেবে। এছাড়া অসংখ্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আদা নিয়মিত গ্রহণে, বমিভাবের সমস্যাটিও দূর হয়ে যায় পুরোপুরি। যে কারণে কেমোথেরাপি অথবা রেডিয়েশন গ্রহণের রোগীদের নিয়মিত স্বল্প পরিমাণে আদা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু আদা খেতে সমস্যা হলে চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে আদার রস পান করতে হবে।
বাদাম
কিছুক্ষেত্রে শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিলেও বমিভাবের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এমন হয়ে থাকলে পছন্দানুযায়ী ৬-৭টি বাদাম খেতে হবে। যদি বাদাম খেতে পছন্দ না করেন, তবে পিনাট বাটার খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। এই উপাদানগুলো একইসঙ্গে বমিভাব কমায় ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
কলা
পেটের সমস্যা, বিশেষ করে ডায়রিয়াজনিত কারণে বমিভাব দেখা দিলে কলা খেতে হবে। কলাতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও চিনি বমিভাবকে দ্রুত কমায় এবং ডায়রিয়ার ফলে মাথা ঘোরার প্রবণতাকে দূর করে।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার সুমিষ্ট ঘ্রাণ পছন্দ করেন সকলেই। এই সুমিষ্ট ঘ্রাণ ও পুদিনা পাতার আরামদায়ক স্বাদ বমিভাবের প্রবণতাকে দূর করে। বমিভাব বেশি হলে কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে হবে অথবা পুদিনা পাতার শরবত পান করতে হবে।