মাঠে-ময়দানে

৬ বছর পর মাঠে ফিরলেন আশরাফুল

ঝিনাইদহের চোখঃ

ছয় বছর পর বিপিএলে ফিরলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ খেলেছিলেন বিপিএলের কোনো ম্যাচ।

সেবার তিনি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে টেনে নিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছিলেন। প্রতিপক্ষ ছিল চিটাগং কিংস। ব্যাটে-বলে ভালোই মিলছিল তার।

মাশরাফির নেতৃত্বে সেই ম্যাচে ১৬ বলে খেলেছিলেন ২৪ রানের ইনিংস। চিটাগাং কিংসকে হারিয়ে হয়েছিলেন বিপিএল চ্যাম্পিয়ন।

কিন্তু হঠাতই বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে আট বছর নিষিদ্ধ হন আশরাফুল।

আপিলের পর সেই সাজা কমে দাঁড়ায় পাঁচ বছর। ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও বন্ধ ছিল জাতীয় দল ও বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের দরজা।

অবশেষে গত বছরের ১৩ আগস্ট সেই দরজাও খুলেছে।

এবার সেই চিটাগাংয়ের ফ্রাঞ্চাইজির হয়েই (চিটাগাং ভাইকিংস) মাঠে ফিরলেন আশরাফুল।

এবারের ড্রাফটে বি ক্যাটাগরিতে ছিলেন আশরাফুল। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। সেই অর্থেই তাকে ডেরায় ভিড়িয়েছে চট্টলার দলটি।

তার তখনকার অধিনায়ক মাশরাফির বিপক্ষেই আজ খেলতে নামলেন তিনি। ভাইকিংসদের প্রতিপক্ষ মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক স্বর্ণাজ্বল বিজয়ে সাক্ষী মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট।

তার সেঞ্চুরিতে বধ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তার দুর্দান্ত উইলোবাজিতে নাস্তানাবুধ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

টেস্টের সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়ানের তকমাটা এখনও তার নামের পাশেই জ্বলজ্বল করছে।

নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি শেষে আশরাফুল জানিয়েছিলেন, তার লক্ষ্য ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক।

অবশ্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের সর্বশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি।

হাঁকিয়েছেন পাঁচটি সেঞ্চুরি। পাশাপাশি লিস্ট এ ক্রিকেটে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন। গেল দুই মৌসুমে ২৩টি ৫০ ওভারের ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.৬৩।

কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেই ধারাবাহিকতা ছিল না সর্বকণিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের। গত দুই মৌসুমে ১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় মাত্র ২১.৮৫।

চিটাগাং ভাইকিংস একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ, ক্যামেরন ডেলপর্ট, মোহাম্মদ আশরাফুল, মুশফিকুর রহীম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সিকান্দার রাজা, রবি ফ্রাইলিংক, নাঈম হাসান, সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী এবং সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button