ঝিনাইদহের বাদামের উপকারিতা ও বৈশিষ্ঠ্য
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
জানাগেছে, বাদাম একটা স্বল্পমেয়াদি অর্থকারি ফসল ফসল। এটি উৎকৃষ্ট মানের ভোজ্য তেল বীজ। বাদামের বীজে ৪৮ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ তেল এবং ২২ থেকে ২৯ শতাংশ আমিষ রয়েছে। কাঁচা ও ভাজা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। এছাড়া চানাচুর, কেক, বিস্কুট, তরকারি, ভর্তা, তেল তৈরিতে বাদাম ব্যবহার করা যায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চীনাবাদমে রয়েছে নানা রকমের অবদান।
চিকিৎসকদের মতে, বাদামের প্রোটিনে দেহ গঠন এবং মাংস তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। বাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলোস্টেরল নিয়ন্ত্রন রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া উচ্চমাত্রার নিয়াসিন দেহকোষ সুরক্ষা, বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ, মস্তিস্ক সুস্থ্য ও রক্ত চলাচলে সাহায়তা করে। কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যান্সার হার্ডের রোগ প্রতিরোধ করে। এর প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়ামে হাড় গঠনে সাহায্য করে।
জানা যায়, মহেশপুর জেলায় ৪২৮ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদ করেছে চাষিরা। যেখানে মহেশপুরে ৪০৯ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮ হেক্টর এবং সদর উপজেলা ১১ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা সাধারণত বি-৩ ও ঢাকা-১ এবং দেশীয় জাতের বাদাম আবাদ করেন। বাজরে চাহিদা ভালো এবং কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি। তাই দিনদিন চাষিরা বাদাম আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।