রং-বেরঙের ও নকশা খচিত বোরকা পরা জায়েজ কি?
ঝিনাইদহের চোখঃ
প্রশ্ন : মুসলিম মহিলাদের রং বেরঙের নকশা খচিত বোরকা পরে বাইরে বের হওয়া অথবা কালো বোরকা ছাড়া বাইরে বেরোনো কি জায়েজ? অথবা এ ধরনের স্বাধীনতা মেনে নেওয়া যাবে কি?
উত্তর : বর্তমানে যে, রং-বেরঙের ও নকশাখচিত আঁটসাঁট ও কোমরবন্ধ বোরকা বাজারে প্রচলিত আছে তা পরিধান করলে নারী দেহের স্পর্শকাতর অংশগুলো প্রকাশমান হয়ে যায় এবং নারী ও পুরুষ একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে রাসূল (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন। যেমন- রাসূল (সা.) বলেছেন, দুই শ্রেণির লোক জাহান্নামী রয়েছে যাদেরকে আমি এখনও দেখিনি। ১ম শ্রেণি এমন জনগোষ্ঠী যাদের হাতে গরু পরিচালনা করার লাঠি থাকবে, যা দ্বারা তারা মানুষকে প্রহার করবে। দ্বিতীয় শ্রেণি এমন নারীজাতি যারা আঁটসাঁট ও নগ্নপোষাক পরিধানকারিনী। যারা পুরুষদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের মাথার চুলের খোঁপা উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায় হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি এক মাসের দূরত্ব থেকে পাওয়া যায়। (সহীহ মুসলিম, হা- ২১২৮, মিশকাত, হা- ৩৫৪২)
রাসূল (সা.) বলেন, তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
১- পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।
২- বাড়িতে বেহায়পনার (অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা) সুযোগ প্রদানকারী অভিভাবক।
৩- পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী। (সহীহ তারগীব, হা- ২০৭০)
অর্থাৎ সমাজের দায়িত্ব এমন লোকদের হাতে যাবে যারা গরুর রাখালের ন্যায় সমাজের লোকদের ওপর নিপীড়ন করবে। আর সমাজে এমন নারীর আবির্ভাব ঘটবে যাদের মাথার চুলের খোঁপা মাথার মধ্যখানে। খোঁপা বাঁধবে যা গরুর কুজের বা উটের কুজের ন্যায় দেখা যাবে এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় নকশা খচিত রং বেরঙের বোরকা পরিধান করবে যা পরিধান করলে নগ্ন দেখা যাবে।
যে সকল অভিভাবক এসব বেহায়পনা ও রুচিহীন পোষাক পরিধানে ও সাজসজ্জায় বাধা প্রদান ও নিরুৎসাহিত না করে সহযোগিতা করবে বা নিরবতা পালন করবে উভয় অবস্থায় সকলেরই স্থান জাহান্নামে