টপ লিডশৈলকুপা

ঝিনাইদহে প্রবাসির শিশু কন্যা ধর্ষিত, মামলা দায়ের

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সৌদি প্রবাসির এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামে। শিশুটি গোবরা গ্রামের মেয়ে এবং শৈলকুপা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিলে সোমবার রাতে ধর্ষক মাঠপাড়া গ্রামের শরিফুল শেখের ছেলে রিপন(২৩) শেখের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়।

ধর্ষিত শিশুটির খালা শৈলকুপা মাঠপাড়া গ্রামের জানান, ঘটনার স্বীকার শিশুটি তার আপন বোন রোজিনা খাতুনের মেয়ে। ৭ মাসের শিশু কন্যাটি রেখে তার বাবা মারা যায়। এরপর ৬ বছর আগে তার বোন শিশুটিকে তার কাছে রেখে সৌদি আরব যান। এখনও সে সৌদি প্রবাসি। বর্তমানে শিশুটি শৈলকুপা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। গত শুক্রবার দুপুরে তার প্রতিবেশী শরিফুল শেখের ছেলে রিপন শেখ শিশুটিকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে হাত পা বেধে ধর্ষণ করে।

এরপর শিশুটির চিৎকারে তারা তাকে রিপনের ঘর থেকে উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিলে এলাকায় বিভিন্ন হয়রানির পর সোমবার রাতে ওসি কাজী আয়ুবুর রহমানের হস্তক্ষেপে মামলা দায়ের হয়। তবে ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটির কোন ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি বলে খালা জানান। সোমবার রাতে রুপা খাতুনের স্বামী সোহেল রানা বাদী হয়ে ধর্ষক রিপন শেখের নামে মামলা দায়ের করেন।

ডিউটি অফিসার এএসআই হুমায়ন জানান, শুক্রবার রাতে একটি শিশু ধর্ষণের অভিযোগ আসে তার কাছে।

শিশু ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিয়ার রহমান বলেন পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামে একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার রাতে রিপন নামের একজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আসামীকে আটক করতে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি তিনি জানার সাথে সাথে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী ধরতে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযান শুরু করেছেন বলে তিনি বলেন। ওসি আরো জানান কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য অভিযোগ দেওয়ার পর আর বাদীকে খুজে পাওয়া যায়নি। পরে তদন্ত করে সোমবার রাতে ধর্ষিত শিশুটির অভিভাবকদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে মামলা দায়ের করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button