বিশ্ব ইজতেমা ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি
ঝিনাইদহের চোখঃ
রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামী ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আজ (মঙ্গলবার) ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক সভায় তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুপক্ষের মুরুব্বিরা এ বিষয়ে যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দুদিন অর্থাৎ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা মো. যুবায়েরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
পরবর্তী দুদিন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালিত হবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় এ বছর আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও সৃশৃঙ্খলভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি দাওয়াতে তাবলিগের সব পর্যায়ের সাথী, দেশবাসী, মিডিয়াসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেউ কারও বিরুদ্ধে উসকানি ও নিন্দামূলক কোনো বক্তব্য এবং বিবৃতি প্রদান করবেন না। দাওয়াতে তাবলিগের ঐতিহ্য অনুসরণ করে ইসলামের খেদমতে সবাই মিলে-মিশে কাজ করবেন।
প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের আগে বিকেল ৪টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলিগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা এবং বিশ্ব ইজতেমার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ওই আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দাওয়াতে তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা মো. যুবায়ের (প্রিন্সিপাল ও আহলে শূরা, মাদরাসা উলুম-ই-দ্বীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ, কাকরাইল, ঢাকা) সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (আহলে শূরা, তাবলিগ জামাত, কাকরাইল মারকাজ মসজিদ, ঢাকা), মাওলানা ওমর ফারুক (আহলে শূরা, মাদরাসা উলুম-ই-দ্বীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ, কাকরাইল) এবং মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন (আহলে মূরা, তাবলিগ জামাত, কাকরাইল মারকাজ মসজিদ)।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) আবু বকর ছিদ্দীক প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে তিনদিন টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। এখন ইজমেতার সময় একদিন বাড়ানো হলো।