শেখ ইমন, ঝিনাইদহের চোখঃ
বর্তমানে বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কোন কাজে পিছিয়ে নেই, পুরুষের মত নারীরাও সংসারের হাল ধরতে পারে সেটা প্রমাণ করে দিচ্ছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নারীরা ।
সংসারের যাবতীয় কাজকর্মের পাশাপাশি তারা সেলাইয়ের কাজে সময় দিচ্ছে ।ছোট ছোট এসব অর্ডারি সেলায় এর কাজ করে আজ তারা সংসারের হাল ধরেছে ।পরিবারকে আরও স্বাবলম্বী করে তুলছে ।
তাদের সেলাইকৃত কাপড় ঢাকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে । এসব কাপড় দিয়ে থ্রিপিচ,পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন কাপড় তৈরি করছে ।স্থানীয় সূেএ জানা যায় , শুরুর দিকে এই কাজকে ছোট করে দেখা হলেও বর্তমানে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে গেছে ।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক তরুণীও এই কাজে জড়িয়ে পরেছেন ।পড়ালেখার পাশাপাশি তারা সেলাইয়ের কাজে সময় দিচ্ছে ।ধরতে চাচ্ছে সংসারের হাল ।
উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের স্কুল ছািএ তানিয়া জানান, প্রায় তিন বছর ধরে এই সেলায় করছি ,লেখা পড়ার পাশাপাশি সেলায় করেছি ,অনেক চাপ পরেছে তারপরও দ্বিধা করিনি । এই তিন বছরে নিজের সমস্ত চাহিদা পূরন করেছি ,সংসারের কাজে টাকা দিয়েছি, এতে নিজের পাশাপাশি সংসারেরও অনেকটাই উন্নতি হয়েছে ।
স্থানীয় অনেক নারী জানিয়েছেন ,সুই সুতা দিয়ে নকশা তৈরির কাজ অনেক পরিশ্রমের ।পরিশ্রম অনুযায়ী মজুরি দিচ্ছেন না উদ্যোক্তারা, মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা ।
তিনি আরও জানান , সেলায়ের আকার আর নকশা অনুযায়ি টাকা দেয় ,ছোট সেলায় ৮০ টাকা আর বড় বা বেশি নকশার সেলায় ২৭০-২৮০ টাকা ।সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি যেটুকু সময় পায় তাতে একটা বড় সেলায় শেষ করতে প্রায় একমাস লাগে ।পারিশ্রমিক একটু বেশি দিলে কষ্টের সঠিক দাম পাবো ।