ঝিনাইদহে সাংবাদিকে হুমকি দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক
সুলতান আল একরাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
বিদ্যালয়ে কোন তথ্যের জন্য আসলে খুব অসুবিধা আছে। তুই এই স্কুলের ব্যপারে কার সাথে কোন কথা বলতে পারবি না এবং এই স্কুলে ঢুকতে পারবি না, তোর কাছে কি তথ্য দিতে হবে তুই কে? যদি স্কুলের কোন শিক্ষকের তথ্য দিতে হয় তাহলে আমাদের কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য দেব। এর পর যদি স্কুলে কোন ব্যপারে আসিস তাহলে তোকে বেঁধে রেখে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়ে দেব।
এই কথা গুলি বলেছে ‘দৈনিক সত্যপাঠে’ ঝিনাইদহ উপজেলা সদর প্রতিনিধি কে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মায়াময় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক স্বপণ কুমার। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে ঐ স্কুলের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক তার কম্পিউটারের সনদ জালিয়াতি করে চাকুরী করছে। যার প্রসঙ্গে জানতে সাংবাদিক লালন মন্ডল ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইনে গত ০৫/০৩/২০১৯ তারিখে একটি তথ্য ফরম জমা দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক ইতিপর্বে দুই বার সময় দিয়ে তৃতীয় দফা ১২ ই ফেব্ররুয়ারি ঐ শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য প্রদানের সময় দেন। সেই মোতাবেক তথ্য আনতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক কয়েক জন বকাটে এবং পারিচালনা কমিটির সভাপতি ডেকে সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহার করে হুমকি প্রদান করে বলে জানায় লালন মন্ডল।
এই ঘটনা জানার পর তিব্র নিন্দা জানিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রধান শিক্ষক একজন নাগরিকের অধিকার হননের কাজ করেছে। যা একজন শিক্ষকের নিকট থেকে জাতি আসা করে না।শিক্ষক যদি এই ধরনের আচারন করে তাহলে সাংবাদিক গন কি ভাবে বস্তুুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করবে? তার এই নাগরিক অধিকার হননের পিছনে কি দুর্নীতি আছে তাহা জেলা শিক্ষা অফিসার সহ জেলা প্রশাসন কে খতিয়ে দেখার দাবী জানায়।