অভিমানী মন অকারণ ভাবে দুখের জীবন—–আসমা জামান
ঝিনাইদহের চোখঃ
দৃষ্টিতে সাদাকালো অাবরণে দুনিয়া দেখায়। অশুভক্ষণে মেলে ধরা ,প্রসারিত করা সেই প্রেমপূর্ণ হাত দুটো ধীরে ধীরে গুটিয়ে অবশের অনুভব দেয়। অালো অাঁধারের সেই পরিবেশ অপমানের পাঁকেই পুঁতে রাখে কিছুক্ষণ।;
এক টুকরো বিবর্ণ ধুসরতা অালিঙ্গন করে,নির্লিপ্ত করে দেয়।
বিকল করে শরীর, মন,হৃদয় ,হাতের দশ দশটা অাঙ্গুল।
অপ্রয়োজনীয় প্রত্যাশায় সেই ছায়ামানবের কিছুই যে করার নেই, সেকথা কে অার বুঝবে?ওসব তুচ্ছ ভাবপ্রবণতার মানরক্ষা বড্ড বেমানান অার নিম্নমান।
নিরুপায় অাক্ষেপে চোখ ভরে জল অাসে। কিন্তু কেঁদে ভাসিয়ে নিজেকে অার পাঁচটা সাধারণের তালিকাভূক্ত হতে ইচ্ছে করেনা। অসাধারণ হওয়ার সাধ হয়। চোখের জল শুকায় চোখের যন্ত্রণায়।
নিজেকে মূর্তি মনেহয়, দ্রুত পায়ে ফেরা হয়না তার। শুধু টের পায় মন, সে অপমানের একমাত্র স্বাক্ষী রয়ে গেল সে নিজেই,,,
তবে, অপমানের দংশনে শরীর নীলবর্ণ ধারণ করলে, নিজেকে যে কতটা মায়াবী দেখায় সে দেখার দৃষ্টিটা খুলে যায় এক নিমেষেই——-