সাহিদুল ইসলাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
গত ১৪ই মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে মির্জাপুর ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ও মতিয়ার রহমানের নাবালিকা মেয়েকে বেকার বাজারে সেবা হোমিও ফার্মেসীতে ঔষুধ আনতে পাঠায় তার মা। এসময় মেয়েটিকে একা পেয়ে হোমিও চিকিৎসক হরিনাকুন্ডু উপজেলার পদ্মনগর গ্রামের মিল্টন তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী সার ব্যাবসায়ী রুহিন ও অপর দোকানদার মিরাজ ছুটে আসলে মেয়েটিকে সে ছেড়ে দেয়। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় দালালচক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করার চেষ্টা করে।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিস দরবারও হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় দুই জন ৫০ হাজার টাকার বাণিজ্য করেছে। এই মিল্টন চিকিৎসার সুত্র ধরে এর আগে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটায় যাহা উপস্থিত লোকজন স্বীকার করে। ঘটনার ভুক্তভোগিরা লোক লজ্জার ভঁয়ে চেপে যায়।
মেয়ের বাবা মতিয়ার রহমান জানান, ঘটনার পর আইনের আশ্রয় নিতে গেলে স্থানীয় মাতব্বররা শালিস মিমাংসার মাধ্যমে লম্পট চিকিৎসকের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে প্রায় ১০/১২ দিন ঘোরাচ্ছেন।
শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
