দর্শকের মধ্যমণি ‘মণিহার’
ঝিনাইদহের চোখঃ
ভাল সিনেমা, সিনেমা হলের পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারায় দর্শক খরায় যশোরের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে স্ব-মহিমায় টিকে আছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সিনেমা হল মণিহার।
সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ও দর্শকদের দাবি, ভাল সিনেমা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে সিনেমা প্রেমীদের হলমুখী করা সম্ভব। টিকিটের টাকা উসুল করার মত রসদের সিনেমা দর্শকদের উপহার দিতে পারলে ব্যবসায় সফল হবে। বিনোদনের মধ্যমণি মণিহার সিনেমা। এখনও জৌলুস হারায়নি।
জানাগেছে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে বর্তমানে যশোর জেলায় কয়েকটি সিনেমা হল টিকে আছে। তারমধ্যে মণিহার সিনেমা হল অন্যতম। দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের পথচলা জৌলুস হারায়নি মণিহার সিনেমা হল। সময়ের বিবর্তনে নানা টানাপোড়েনেও টিকে আছে সিনেমাপ্রেমীদের প্রিয় হলটি।
১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর যশোর শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কে (আরএন) হলটির উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর সোহেল রানা ও ববিতার সাড়া জাগানো ‘জনি’ ছবিই ছিল মণিহারের প্রথম শো। সেই থেকে শুরু। নানা প্রতিবন্ধকতার পরও টিকে আছে সিনেমা হল।
বর্তমানে যশোর শহরের একমাত্র সিনেমা হল মণিহার। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন চারতলা ভবনে মণিহার সিনেমা হলের অবস্থান। ভবনের প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা নিজের ছবি। এরপর উপরে উঠতে ঘোরানো পেঁচানো সিঁড়ি, আলোর ঝলকানি আর পানির ফোঁয়ার।
ভিতরে ঢুকতে শরীরে ঠাণ্ডা অনুভব হবে। দেড় হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার হলটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেটি ফোমের ঘোরানো চেয়ারে বসলেই বোঝা যাবে। সামনের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ৪০ ফুট প্রস্থ ও ৩০ ফুট উঁচু বিশাল ডিজিটাল পর্দা। সেই পর্দায় ভেসে উঠবে নায়ক- নায়িকা ও সিনেমার কুশিলবদের চেহারা। আধুনিক সাজসজ্জার এই হলে একটি সিনেমা দেখার জন্য সারা দেশের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকরাও এসেছেন বিভিন্ন সময়ে। দেশীয় সিনেমার দুর্দিনে কয়েক বছর দর্শক কমলেও বর্তমানে যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় জৌলুস ফিরিয়েছে মণিহার।