ফেলনা খোসার দারুণ কিছু ব্যবহার
#ঝিনাইদহের চোখঃ
সবজি কিংবা ফল খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেই আমরা। অথচ এই ফেলনা অংশটিকেই দারুণভাবে কাজে লাগানো যায়। রূপচর্চা থেকে শুরু করে ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করা যায় ফল ও সবজির খোসা। চলুন তবে এমন কিছু ব্যবহার সম্পর্কেই জেনে নিই-
আলুর খোসা-
আলুর খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম ও ভিটামিন সি। ডার্ক সার্কেল ও চোখের ফোলা ভাব কমাতে কাজ করে এটি। এর জন্য কী করতে হবে? আলুর খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে মিনিট বিশেক দিয়ে রাখুন চোখের ওপর। এটি চোখের ক্লান্তিভাবও কমিয়ে দেবে।
কলার খোসা-
কলা খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন? আজ থেকে আর তা করবেন না। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো উপকারী সব উপাদান যা দাঁতের এনামেলের জন্য বেশ উপকারী। দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে প্রতিদিন সকালে দাঁতে কলার খোসা ঘষুন। নিয়মিত ব্যবহারে পাবেন ঝকঝকে সাদা দাঁত।
লেবুর খোসা-
পোকামাকড় দূর করতে সাহায্য করে লেবুর খোসা। ঘরের যেসব স্থানে বেশি পিপড়ার উপদ্রব রয়েছে সেখানে লেবুর খোসা গুঁড়ো করে ছিটিয়ে দিন, পিঁপড়া পালাবে।
শসার খোসা-
কমলা ও শসার খোসা ভেজানো পানিতে প্রতিদিন গোসল করুন। এটি ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি দেহের ক্লান্তি দূর করবে।
ডিমের খোসা-
ডিম তো প্রায়ই খাওয়া হয়। আর এর খোসা ফেলে দেন নিশ্চয়ই। এটি কিন্তু সার হিসেবে দারুণ কাজ করে। আপনার ছাদ বাগানের গাছের যত্নে তাই ব্যবহার করুন ডিমের খোসার সার।
এছাড়াও বিভিন্ন সবজির খোসা দিয়ে ভর্তাও বানানো যায়। আজ থেকে তাই ফল ও সবজির খোসা না ফেলে কাজে লাগান।