ঝিনাইদহে ভিন্ন পেশা,,,
#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
প্রতিদিন ছুটে যান গরুর মালিকদের বাড়িতে। নিজেদের দায়িত্বে বুঝে নিয়ে আসেন গরু। সারাদিন মাঠে চরানোর পর সন্ধার আগে আবার গরুর মালিকদের নিকট পৌছেদেন। আর একাজের জন্য গরুর মালিককে প্রতিদিন দিতে হয় ১৫ টাকা। এভাবেই দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর চলছে ঝিনাইদহের মহেপুরের আলাউদ্দিনের। আলাউদ্দিন উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোরবা গ্রামের বারিক বিশ্বাসের ছেলে।
প্রথমে দ্বিধা থাকলেও এটাকে এখন পেশা হিসাবেই নিয়েছেন। তার এমন কাজে গরুর মালিকেরাও খুশি।
আলাউদ্দিন জানান, প্রথমে কাজে দ্বিধা থাকলে গরুর মালিকদের আগ্রহের কারনে এক পর্যায়ে এই পেশায়তেই সিন্ধান্ত নিই। দিনদিন গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। আয়ও বাড়ে। বর্তমানে ৭০/৭৫ টি গরু চরাতে হয়। এখন তৈফিক ও তুফান নামের দুই জন সহযোগি রয়েছে। তৈফিক লেখাপড়া করলেও তুফান পড়েনা।
তৈফিক জানান, তারা গরিব মানুষ। যে টাকা পায় তা সংসারে দেয়। সে গ্রামের ব্র্যাক স্কুলের ৪র্থ শ্রনীতে পড়ে। সকালে স্কুলে যায়, বাড়িতে এসে আবার মাঠে গরু খাওয়াতে যায়। সে চার বছর এ কাজ করছে।
সে আরো জানান, লেখাপড়া তার খুবই ভালো লাগে। কোনদিন স্কুল কামাই করিনে। স্যারেরা যে পড়া দেয়, একাই বাড়িতে পড়া করি। ইচ্ছা আছে কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া করে, বড় হব। একদিন চাকরি করবো।
একাধিক গরুর মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র ১৫ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন সকাল, বিকালে গরুকে মাঠের কাচা ঘাস খাওয়াতে পারছি। তাড়াছা তাদের দায়িত্বদেখে আমরা বড়ই খুশি হই।