ঝিনাইদহসহ ৪ জেলায় চামড়ার দামই নেই, ব্যবসায়ীরা হতাশ
#ঝিনাইদহের চোখঃ
পশ্চিমের জেলাগুলোতে কাঁচা চামড়ার দাম একেবারেই পড়ে গেছে। যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কোরবানির ঈদ সামনে চামড়ার দরপতনে ব্যবসায়ীরা হতাশ।
ঝিনাইদহের চামড়া ব্যবসায়ী মো. আবতাব হোসেন বলেন, পাঁচ ফুট সাইজের এক পিস ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। ২০ ফুট সাইজের এক পিস গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। আর মহিষের চামড়া প্রতি পিস ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তারও ক্রেতা মিলছে না বলে তিনি জানান। চামড়ার প্রধান ক্রেতা ঢাকার ট্যানারি কারখানার মালিকেরা। তারা চামড়া কিনছেন না। তাদের কাছে এ অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের বহু টাকা বকেয়া পড়েছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাজারের কসাই আব্দুল আলিম জানান, চামড়ার একেবারেই দাম নেই, এক পিস ছাগলের চামড়া মাত্র ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কসাই রাশেদ ইসলাম জানান, গরুর চামড়া প্রতি পিস ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চামড়ার দর কমে যাওয়ায় মাংস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান চামড়া ব্যবসা কেন্দ্র যশোরের রাজারহাট। এখানে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, ঢাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করা হয়ে থাকে। তারা পাওনা বকেয়া টাকা পরিশোধ করছে না।
তিনি জানান, ঢাকার পোস্তগোলার একজন চামড়া ব্যবসায়ীর কাছে এ অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৮ কোটি টাকা পাওনা আছে। তিনি গত বছর থেকে টাকা পরিশোধ করছেন না।
এ অবস্থায় চলতে থাকলে কসাই থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, যারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত সবাই বেকার হয়ে যাবে। তিনি অবিলম্বে চামড়া ব্যবসায়ের সংকটের উপর নজর দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।