পিষ্ট পথিক—গুলজার হোসেন গরিব
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ব্যর্থ মাঝি ব্যর্থ গাজী ব্যর্থ যাত্রী-দল
নায়ের তলা ঠিক না করে বসায় সেঁচের কল
জল সেঁচে আর লাভ কী বলো চুয়ায় যদি পানি
ঘোর তোড়ে ওর বুঝবে ঠেলা খেলেরে চুবানি।
আগাছাতে ক্ষেত খেয়ে যায় কৃষক মহি দাস
হাসে চাষী ভীষণ খুশি এমনি করে চাষ
ফল হলো কি গো খাদ্য দেখলো না সে চেয়ে
ভীষণ খুশি কৃষক মহি গো খাদ্য পেয়ে।
ঘরের পাশে জ্যান্ত লাশে মিছিল করে যায়
মরায় না কি জীবন দেবে মৃত সব জনায়
অবাক তাদের ভাষ্য শুনে হাস্যি পায় এ মনে
মিথ্যাটারে সত্য করে চলছে লাশের বনে।
ভয়াল কীটের বাড় বেড়েছে ঔষধ নাই কোনো?
যাতে ওরা মরবে পড়ে উড়লে যেনোতেনো
কীটনাশক ঐ কীটের’পরে ঢালবে নাই বিধান
তাই বড় আজ জনের চেয়ে কীটের অবস্থান।
আলো ঘরে প্রদীপ জ্বালায় পলতে ছাড়া গুরু
এমন গুরুর পাঠদানেতে অন্ধকারের শুরু
শিষ্যগুলো অন্ধকারেই ঠেলায় ঠেলায় মরে
গুরু শিষ্য সেই ঠেলাতে আমোদ করে ঘরে।
নীতির চালোন নীতি চালে যার কাছে নাই নীতি
তার কাছে সব পিষ্টজনের কী হবে উন্নতি?
যে জন শুধু সুযোগ খোঁজে হতে টাকার পাহাড়
ভালো মন্দ ধার ধারেনা সকল পিষ্ট আহার।
শেয়াল গুলো ডাক ছেড়ে কয় সেবা দিতে চাই
হালকা কিছু ছদকা দিলে সেবা দেবো ভাই
ছদকা দিয়ে বিশাল বাড়ি বিশাল হবে নিজে
ছদকা দিতে মুরগি গুলোর বুকখানা যায় ভিজে।
গঠন বেচা যায় বেচে যায় নড়বড়ে সব গঠন
তাতেই ক্রেতা আমজনতা পাগল পুঁষির মতন
বোঝেনা তো আমজনতা গঠন কেমন হবে
জরাজীর্ণ যেমনই হোক তাই মেনে নেয় সবে।
রমরমা থুক চলছে বাজার নিয়ম-কানুন ছাড়া
অনিয়মই নিয়ম হাটে তিক্ত শক্তিদ্বরা
উৎপাদকের কপাল মন্দ নাই পণ্যের দাম
বৃথা শুধু উৎপাদনে ফেলে দেহের ঘাম।
হায়েনাগুলো আয়না ধরে বার বার দেখে মুখ
নিজের জাতির মাংস খেয়ে কেমন লাগে সুখ
সুখে মুখে ছাড়ছে বুলি তাঁরা দেখাবে পথ
হায়েনার কাছে পথ খুঁজে পায় অন্ধ জনপদ।
পঁচা শামুক ফুল বিছানায় কেমন হবে বাসর?
পঁচা শামুক সে-ই পেতেছে যেজন দাসের দোসর
তাও দোসরের ভক্ত হয়ে ভক্তি দেয় রে পায়
মূর্খ ভক্ত জানেনা হায় দোসর কী সে চায়।