ঝিনাইদহের পল্লীতে তৈরি হচ্ছে ৭ গম্বুজ বিশিষ্ট ঈদগা
#শাহজাহান আলী বিপাশ, ঝিনাইদহের চোখঃ
উদ্যোক্তরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলে স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় যে কোন কাজে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ই্উনিয়নের তামিনগরের গ্রামবাসীর ঐক্যব্ধ প্রচেষ্টায় এবং কিছু ব্যক্তি উদ্যোক্তার সহযোতিায় তৈরি করা হচ্ছে মাটি থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার সাত গম্বুজ বিশিষ্ট এবং মাটি থেকে ৫৫ ফুট উচ্চতা চারটি মিনার (টাওয়ার) বিশিস্ট একটি ঈদগা ।
স্থানীয়দের বক্তব্য এটি হবে দেশের সুউচ্চ এবং সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট ঈদগাহ। ২৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এই ঈদগায়ের আনুমানিক ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। আর এই টাকা পুরোটাই গ্রামবাসীর অর্থায়নে। ইতিমধ্যে একটি গম্বুজ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
তামিনগর কেদারিয়া আধুনিক মেগা ঈদগা কমিটির সভাপতি হোসেন আলী জানান, প্রতি বছর এই ঈদগাহে তামিনগরসহ আশে পাশের গ্রামের প্রায় ২ হাজার মুসল্লী একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। কিছু বৃষ্টির সময় পড়তে হয় দুর্ভোগে। গত এক বছর আগে ঈদের নামাজের সময় মুসল্লীরা মিলে সিদ্ধান্ত নেয় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাটি তারা নিজ খরচে নির্মাণ করবেন। এর পর থেকে আমরা এই ঈদগা নির্মাণ শুরু করি। আমাদের বাজেট প্রায় ৮০ লাখ টাকা। আর এই অর্থ বহন করছেন গ্রামের কিছু মানুষ এবং বিশেষ করে ৩২জন ব্যক্তি।
সভাপতি হোসেন আলী আরো জানান, এই ঈদগাটি নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের জন্য থাকছে সেডের মাধমে আধুনিক মানের টয়লেট,বাথরুম,ওজুখানা। এছাড়াও এখানে থাকবে একটি রেস্ট রুম। এই ঈদগাহে এক সাথে প্রায় ২ হাজার মুসল্লী নামাজ পড়তে পারবে।
তামিনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিবার জোয়ার্দ্দার,সেতাব উদ্দিন জানান, তাদের এই ঈদগা দেশে সর্ববৃহত ঈদগা হবে। প্রায় ২৩ শতক জমির উপর এটি নির্মিত হচ্ছে। ২০২০ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তামিনগর গ্রামবসীই নয়, প্রতিবেশী অরুনকান্দি, গোয়ালবাড়িয়া, বায়রা, বাহাদুরপুরসহ আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের মুসুল্লিরা বছরের দুই ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এক সাথে। তারা জানান, এই ঈদহা নির্মাণে যারা সহযোগিতা করছেন তাদের নাম ও ঠিকানা দেয়ালে লেখা থাকবে।
ঈদগা নির্মাণের প্রধান উদ্যেক্তা ও ডিজাইনার আব্দুল আলীম জানান, ইন্টারনেট থেকে বেশ কয়েকটি ঈদগাহের ডিজাইন অনুসন্ধান করে এটি গ্রামবাসীকে দেখানো হয়। এর পর গ্রামবাসী ডিজাইন পছন্দ করার পর আমরা কাজ শুরু করি। এই ঈদগা হবে ৭ গম্বুজ বিশিষ্ট, গম্বুজগুলোর উচ্চতা হবে প্রতিটি ৩৩ ফুট এবং চারি পাশে ৪টি বড় মিনার বা টাউয়ার থাকবে। যার উচ্চতা হবে ৫৫ ফুট। দৃষ্টি নন্দন হবে এই ঈদগাটি। আশা করছি আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে এই কাজ শেষ হবে এবং এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহত ঈদগা হবে বলে তিনি ধারণা করেন।