ঝিনাইদহ সদর

পৌরসভায় বরাদ্দের বৈষম্য দূর করা হবে : স্বপন ভট্টাচার্য

ঝিনাইদহের চোখঃ

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, পৌরসভার তুলনায় জেলা পরিষদের বরাদ্দ বেশি। এখানে যে বৈষম্য আছে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী না হলে জনগণের উন্নয়ন হবে না।

শনিবার যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ম্যাব) ও মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন ২০০৪ সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ১৬ কোটি মানুষের প্রায় ৪০ লাখ মামলা আদালতে বিচারাধীন। এখানে এসে শুনলাম, ঝিনাইদহে একটি মামলা ৪৭ বছর ধরে ঝুলে আছে। দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করতে চায়। আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করি। মামলার জট কমাতে হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন ২০০৪ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, মিউনিসিপাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ম্যাব) সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ও শরিয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতয়াল, যুগ্ম সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম পিটু, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী, কালিয়া পৌরসভার সচিব মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

কর্মশালার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর লিগ্যাল এইডের প্রধান সমন্বয়কারী খান মোহাম্মদ শহীদ। পৌর বোর্ড আইন-২০০৪ সম্পর্কে উপস্থাপন করেন যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button