জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
মহেশপুরে মেয়ে ও নাতি হত্যা মামলার বাদী উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মেহেরুননেছা ও তার ভাইপো সাকিলকে সাতক্ষীরা আদালত চত্বরে আসামী পুলিশ কনস্টেবল (বরখাস্থকৃত) আব্দুল আলিম ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
মামলার বাদী মেহেরুননেছা জানায়, বৃহস্পতিবার মেয়ে ও নাতি হত্যা মামলার খোজ-খবর নিতে তার ভাইপো সাকিল কে নিয়ে সাতক্ষীরা আদালতে যায়। এ সময় আসামী আব্দুল আলিম তাদেরকে দেখে তার শ্বশুবাড়ির লোকজন সহ ৬/৭ জন লোকজনকে ডেকে এনে সাকিল ও মেহেরুননেছার উপর হামলা করে।
আসামীরা সাকিলকে আদলত চত্বরে পাড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আদালত চত্বরের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে রক্ষা করে। মামলা তুলে না নিলে প্রকাশ্যে বীরদর্পে আসামীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় পরে আসামীরা থানায় যেয়ে বাদীর বিরুদ্ধে জিডি করে। প্রান ভয়ে মেহেরুননেছা ও সাকিল পালিয়ে এসে ঝিনাইদহের মহেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
বিষয়টি মানবাধিকার সংস্থা রুরাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার(আরডিসির) এর পক্ষ থেকে খোজ-খবর নিলে সাতক্ষীরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তারই দিক-নির্দেশনায় শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় মেহেরুননেছা বাদী হয়ে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করে।
সাত্ক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ই ফেব্রæয়ারী রিপনা খাতুন(২২) ও তার শিশু কন্যা মুন্নি খাতুন(৪)কে আসামী আব্দুল আলিম হত্যা করে সাতক্ষীরা ইছামতি নদীতে লাশ ফেলে দেয়। এ বিষয়ে ঐ সময় তালা ও কালীগঞ্জ থানায় পৃথক ২টি হত্যা মামলা হয়।