আরিফ মোল্ল্যা, ঝিনাইদহের চোখঃ
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হাজিরা নেয়া হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
অভিভাবকেরা অন লাইনেই পেয়ে যান তাদের সন্তানদের পরীক্ষার ফলাফল। মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে চালানো হয় ক্লাস। সকল শ্রেণীকক্ষে দেয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকেরা অফিস কক্ষ থেকে চিত্র দেখে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন।
গরীব অসহায় শিক্ষার্থী যারা স্কুলের ইউনিফর্ম তৈরী করতে পারে না তাদের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ে তৈরী করা হয়েছে মহতি ঠিকানা। যেখানে সামর্থবান শিক্ষার্থীরা তাদের অপ্রয়োজনীয় পোশাক রেখে যায়। আবার অনেক সামর্থবান অভিভাবকেরাও নতুন পোশাক দান করেন মহতি ঠিকানায়। গরীব শিক্ষার্থীরা এখান থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পোশাক বিনামূল্যে পেয়ে যায়।
এছাড়াও কোন মালিক ছাড়াই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে চালানো হচ্ছে সততা ষ্টোর। এখানে কোন দোকান মালিক নেই । খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটে বা পাত্রের গায়ে মুল্য লেখা আছে বাজারে না গিয়ে এখান থেকে শিক্ষার্থীরা পছন্দ মত খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রী কিনে নিজের মত করে টাকা রেখে আসে। সততা ষ্টোর থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সততার শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়টির এ সকল দিক তুলে ধরে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটা নজরে আসে বিভাগীয় শিক্ষা কর্তাব্যক্তিদের। তারা মঙ্গলবার ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের হাট বারজারের এ বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে আসেন সব কিছু দেখতে। এ সময় তাদের সামনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নিজের চারটি আধুনিক মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা ইনোভেশন ধারণা প্রদর্শন করা হয়।
দিনব্যাপি চলা নানা অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনর রশীদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.জয়নাল আবেদীন খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইনামুল হক, ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব, রিসার্চ অফিসার কামরুজ্জামান,কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা নিয়ে তার নিজের চারটি ইনোভেশন স্কয়ার শিক্ষা থিম, সৌর শিক্ষা জগত, গ্রæপ বেজ লানিং একটিভিটিস শেয়ারিং এবং কানেকটিং এবং ডিজিটাল স্কুল বিষয় ধারণা উপস্থাপন করেন।
খুলনা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাগন প্রত্যন্তঞ্চালের এ বিদ্যালয়টির আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান, পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাদান,শৈশব কাল থেকে তাদেরকে সততা ষ্টোরের মধ্যদিয়ে দুর্নীতিমুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নিয়েছেন সে জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সর্বোপরি বিদ্যলয়টির প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের শিক্ষা নিয়ে যে চারটি আধুনিক ইনোভেশন স্কয়ার শিক্ষা থিম উপস্থাপন করেছেন সেগুলো আরো একটু মটিভেশন করে পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে কার্যকরী করার ঘোষনা দেন।