ঝিনাইদহে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ ব্রিজ যেন মরণফাঁদ (ভিডিও সহ)
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলা সীমানার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি ব্রিজ যেত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
অত্যন্ত ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত খুলনা ও স্থলবন্দর বেনাপোলের সাথে ঢাকা ও রাজশাহীর গাড়িগুলো মালামাল ও যাত্রী পরিবহন চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে ৩টি ভাঙ্গা ব্রিজে মানুষের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।
ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের ছালাভরা নামক স্থানে ব্রিজটি দু-পাশেই ফাটল ও ধসে গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ হালকা ও ভারী মালবাহী পন্য চলাচল করে। এই জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি নতুন করে সংস্কার করে নির্মান না হওয়ায় যেনো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝঁকি নিয়ে শতশত মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। যার কারণে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তেমনি যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় মানুষ, যাত্রী ও চালকেরা।
অপরদিকে মোবারকগঞ্জ চিনি কলের পাশে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ব্রিজটি নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রতিদিন সেখানে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আর যানবাহন জ্যামের তো ঠিক ঠিকানা নেই। জ্যাম হলে রাস্তার দু’পাশে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার যানবাহন আটকিয়ে পড়ে। এ ব্রিজটি ঠিকাদারের গাফলতির কারণে মেরামত করা হয়নি যথা সময়ে। মহাসড়কের এক পাশে রাস্তা খুঁড়ে রাখা রয়েছে ফলে প্রতিদিন এ ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
একই রকম চিত্র রয়েছে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের হামদহ সদর হাসপাতাল গেটের সামনে ব্রিজটি প্রায় ৫ মাস আগে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার কারণে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে গত দু সপ্তাহে এক পাশ বন্ধের কারনে দীর্ঘ জানজটে পড়তে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়েও যাত্রী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহণসহ স্থানীয় ৩ চাকার যানবহন চলাচল করে থাকে। সদর হাসপাতালের সামনে হওয়ায় জানজট সব সময় লেগেই থাকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ৩টি ব্রিজ প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্যস্ততম সড়ক হওয়ার কারণেও ভারী যানবহন চলাচল করায় ফাটল ও ধ্বসে গেছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় সড়ক-জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার এর গাফিলতি ও উদাসিনতার কারণে জনদুর্ভোগ সাধারণ মানুষের পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নতুন করে ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
ঝিনাইদহ সড়ক-জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, ব্রিজ ৩টির ব্যাপারে আমরা উপর মহলকে জানিয়েছি। আশা করছি সদস্যা সমাধান হবে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন