৪বছরেও চালু হয়নি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় (ভিডিও সহ)
মাজেদ রেজা বাঁধন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সরকারী একমাত্র “বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়” টিতে প্রয়োজনীয় বহুতল ভবন নয়নাভিরাম মনমুগ্ধকর ক্যাম্পাস, শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতাসহ সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা, আবাসিক হল সব আছে তবুও শুরু হচ্ছে না প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা ও পূনর্বাসনের কার্যক্রম।
শিক্ষক কর্মচারীসহ মোট ১১ জন দীর্ঘ চার বছর ধরে একরকম বসে বসেই সরকারী বেতনভাতা ভোগ করছে। এদিকে যাদের জন্য এত আয়োজন সে সকল বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌরসভার অন্তর্গত বটতলা মহিষাকুন্ডু এলাকায় ৩ একর জমির উপর ২০০৬ সালে “বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়” এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। একটি দো’তলা অফিস ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি দো’তলা আবাসিক ভবন, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, এবং একটি স্টাফ কোয়াটার সহ প্রয়োজনীয় স্থাপনাসহ বিদ্যালয়টির অবকাঠামো নির্মাণ করে ২০১৬ সালে গণপূর্ত বিভাগ ঝিনাইদহ সমাজ সেবা’র নিকট হস্তান্তর করে।
বিদ্যালয়টিতে দুইজন শিক্ষক, একজন হিয়ারিং এইড টেকনিশিয়ান ও সাতজন বিভিন্ন পদের আউট সোর্সসিং সহ মোট ১১ জন জনবল নিয়োগ আছে তবে নার্স এবং হাউজ প্যারেন্টস পদ শূণ্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ঝিনাইদহ শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা।
এই প্রতিষ্ঠানটিতে ১০০ জন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী সকল সুযোগ সুবিধা সহকারে সম্পূর্ণ আবাসিক থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পারবে। ৬ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সের প্রতিবন্ধি শিশু কিশোর ও কিশোরীরা এই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানটি এখনও চালু না হওয়ায় একদিকে যেমন প্রতিমাসে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হচ্ছে তেমন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই বিদ্যালয়টির কাজ হলো ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীদের আবাসিক সুযোগ সুবিধা প্রদান, সাধারণ শিক্ষা, ইশারায় ভাষা শিক্ষা বিনামূল্যে ভরণ পোষণ ও প্রাক -বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, চিকিৎসা সেবা, খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বা অন্যান্য কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারে নাই। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৩৮ জন ছাত্রছাত্রী শুধু নামে মাত্র খাতা কলমে ভর্তি করে রেখেছে।
ঝিনাইদহ সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আঃ লতিফ সেখ এব্যপারে জানায় দুইটি পদে নিয়োগের অভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি তবে আশা করছি আগামি এক বছরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করা যাবে।