ঝিনাইদহের চোখঃ
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী করছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের শৈলকুপা উপজেলার তমালতলা বাজার সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক। অবশেষে ধরা পড়ে চাকরী খোয়ালেন তিনি।
আসাদুজ্জামান ফারুক শৈলকুপার রামজয়পুর গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে।
মসজিদ ভিত্তক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রম বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদ সাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬.০১.০০০০.০২৫.১৯.১০০.০৯.২০০ স্মারকের চিঠি সুত্রে জানা গেছে, রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক চাকরী গ্রহনের সময় জাল এইচ.এস.সি সার্টিফিকেট জমা দেন। তদন্ত শেষে তা প্রমানিত হয় এবং সাধারণ কেয়ারটেকারের অব্যহতি নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে তাকে চাকরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অব্যাহতি দেওয়া হলেও রাষ্ট্রিয় গোষাগার থেকে মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুক ২০১৬ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার, ঈদ বোনাস নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা, টিএ ডিএ বিল নিয়েছেন ৪৩ হাজার ২০০ টাকা। সর্বমোট তিনি আনুমানিক ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদের চিঠিতে ওই টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরৎ দেওয়ার কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
অভিযোগে পাওয়া গেছে, কেয়ারটেকার মোঃ আসাদুজ্জামান ফারুকের আরেক ভাই মাগুরা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান জাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে বড় ভাইকে চাকরী দেন। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক অফিসে ভাইবা পরীক্ষার সময় তৎকালীন ঝিনাইদহ ইফার উপ-পরিচালক সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি ধরে ফেলেন। তিনি তিনবার আসাদুজ্জামান ফারুকের ফাইল ফেরৎ দেন। এ খবর নিজেই সাংবাদিকদের জানান সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ঝিনাইদহ ইফার উপ-পরিচালক সুলতান আহম্মেদ।
তিনি বলেন, আমাকে চাপ দিয়ে তৌহিদ তার ভাই আসাদকে চাকরী দিতে বাধ্য করেন। এদিকে মাগুরা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানকেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইফার এক চিঠিতে বলা হয়, আপন বড় ভাইকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে চাকরী দেন। এ বিষয়ে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তৌহিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত হয় এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।