সাবজাল হোসেন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক একাধিক ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোট সিমলা হাফেজি মাদ্রাসায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোবারক হোসেন আদালতে এবং তার সহযোগীতা করায় ৪ ছাত্রকে আটক করে শিশু শোধনাগারের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই আবুল খায়ের জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট সিমলা গ্রামের হাফেজি মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রের প্রায়ই বলাৎকার করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক এমন অভিযোগ পেয়ে গত রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে থানায় আনা হয়। এ সময় তাদের গোপন জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের ঘটনাটির সত্যতা মেলে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহফুজুর রহমান জানান, ওই মাদ্রাসায় পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর বাবা কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গোরস্থান পাড়ার হাজেম আলী দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জেলার সদর উপজেলার বেতাই চন্ডিপুর গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেনসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর দেয়া ভাষ্যমতে বলাৎকারের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সে কারনে মোবারক হোসেনকে আসামী করা হয়। আর তার এমন অসামাজিক কাজে সহযোগীতা করার অপরাধে ওই মাদ্রাসার ৪ শিক্ষার্থী সদর উপজেলার বেতাই চন্ডিপুর গ্রামের আসলাম হোসেন(১৫), সদর উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামের সাদিক হোসেন (১৫), কালীগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হুজাইফা (১৬), একই উপজেলার আলাইপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম ১৫) কেও অভিযুক্ত করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেনের মা ফরিদা খাতুন জানান, তার ছেলে ৫/৬ দিন আগে বাড়ি এসে ঘটনার কথা জানালে তারা অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি যাচাই করেন। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা মিলে সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে যাচাই বাছাই করেন।
সিমরা রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, অভিভাবকদের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি এলাকার লোকজন নিয়ে শুনানী করে এমন অপকর্মের সত্যতা পেয়েছেন।
মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছোট সিমলা গ্রামের সমাজসেবক আলী আকবর জানান, ধর্মীয় শিক্ষার জন্য গ্রামের লোকজন মিলে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভালোই চলছিল মাদ্রাসাটি। কিন্ত মাদাসায় পড়–য়া বাচ্চারা অভিযোগ দিলে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিন্ত পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর থানায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।