দর্শক টানতে ব্যস্ত ঝিনাইদহের বিনোদন কেন্দ্রগুলো
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখঃ
আর কয়েক দিন পরেই নতুন বছর। নতুন বছরের শুরু থেকে প্রথম ৩ মাস শীতের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় করবে ভ্রমনপিয়াসুরা। এ আশায় ঝিনাইদহের জোহান ড্রীম ভ্যালী, তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামেলি পার্ক, নলডাঙ্গা রাজবাড়ীসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে।
চলছে ধোয়া, মোছা, পরিচর্যা আর নতুন নতুন রাইডার স্থাপনের কাজ। মেরামত করা হচ্ছে ভাঙা রাইডগুলো, লাগানো হচ্ছে নতুন রঙ। মৌসুমকে সামনে রেখে নানা অফারও রাখছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। মুলত ঈদুল ফিতরের পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্কগুলো থাকে দর্শনার্থীশূন্য। গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে দর্শক খরায় লোকসান গুনতে হয়েছিল তাদের। সেই সাথে গত কয়েক মাসের খরচের হিসাব চোকানোর জন্য পার্কের ভেতরে এবং বাইরের বিভিন্ন অংশে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত বিনোদন মালিক-শ্রমিকরা।
শহরের তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামেলি পার্কের ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, ৩১ ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পার্কগুলোতে দর্শনার্থী আসবে। দর্শনার্থীদের জন্য এ মৌসুমে এ পার্কে নতুন নতুন রাইডার স্থাপন করা হচ্ছে। সেই সাথে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘেœ বিনোদন উপভোগ করতে পারে এ জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ কঠোর নিরাপত্তাসহ নানা প্রদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্ক এন্ড পিকনিক স্পটের সত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে পার্কগুলোতে দর্শনার্থী কম ছিল। সেই সময় আশানুরূপ দর্শনার্থী না আসার কারণে কিছুটা লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। এবারের শীত মৌসুমে জেলার বিভিন্ন পার্কগুলোতে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ দর্শনার্থী আসবে আশা করে তিনি বলেন, জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কে এ মৌসুমে নতুন রাইডার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এবছর স্থাপন করা হয়েছে চিড়িয়াখানা, থ্রি-ডি ভবন। দর্শনার্থীদের জন্য পার্কগুলোতে নিয়মিত পরিচর্যার কাজ করা হচ্ছে। রোপন করা হচ্ছে নানা জাতের ফুল।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) বলেন, দুর-দুরান্ত থেকে ঝিনাইদহে বিনোদনের জন্য যারা আসবেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে যেন ইভটিজিং, যৌনহয়রানি না হয় সে জন্য পার্কগুলোতে সাদাপোশাকে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। মৌসুম শুরু হওয়ার পর সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। তিনি আরও বলেন অন্য জেলার মানুষ ঝিনাইদহে এসে যেন তাদের সময় ঠিকমত উপভোগ করতে পারেন সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।