ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার এক গৃহবধু তার ভাসুরের ছেলের কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার নগ্ন ছবি ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে আসামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ শৈলকুপা উপজেলার চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া আক্তার ।
লিখিত বক্তব্যে মৃত রাবেয়া আক্তার বলেন, ওই গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে ইনসান কবীরের সাথে সাথে বিয়ে হয় ২০১৮ সালে । বিয়ের পর তার স্বামী সিঙ্গাপুরে চাকরি করতে গেলে তার ভাসুরের ছেলে ইউনুস তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে থকে। কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ইউনুস তার নগ্ম ছবি বানিয়ে গ্রামে প্রচার করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানে কাছে জানালেও তারা কোন সুরাহা করতে পারেনি।
রাবেয়া আক্তার নিজে বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করার ফলে বর্তমানে মামলার আসামী ইউনুস জেল-হাজতে রয়েছে। এরপর থেকেই বাদী ও তার পরিবারকে নির্যাতন শুরু করে আসামীর স্বজনরা।
বাদী ও তার চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা, চুরি-ডাকাতিসহ ৩টি মামলা দায়ের করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্যাতিতা ও তার পরিবার এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান টুলু, আবু দাউদ, তোয়াজ উদ্দিন, আব্দুল বারিক, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।