ঝিনাইদহে নাট্যকর সেলিম আল দীনের ১২ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের রোজ মঙ্গল বার সকাল ১১ টায় নাট্যচার্জ ডঃ সেলিম আল দীনের ১২ তম প্র্য়ান দিবসের স্মরণে হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঝিনেদা থিয়েটার ও ভোর হল নামের ২ টি সংগঠন। প্রতিযোগিতায় ৩৭০ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ে উপস্থিত ছিল ঝিনেদা থিয়েটারের সমন্ময়ক শামীম আহামেদ ও ভোর হলোর সাধারন সম্পাদক শাকিব মামুন, হার্ভার্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন রিপন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ চক্রবর্তী। প্রতিযোগীদের মধ্যে হতে ১২ জন কে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে সেলিম আল দীনের জন্ম। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন তিনি।
লেখক হিসাবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাও সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে- সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যার নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেইসঙ্গে প্রাচ্য, কীর্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সয়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতি কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি ও চাকা সেলিম আল দীনকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
জীবনের শেষ ভাগে ‘নিমজ্জন’ নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে সেলিম আল দীনের কলম থেকে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।