পর্বঃ ১–ঝিনাইদহে সুকান্ত মজুমদার নামে এক লম্পটের যত কাহিনী
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ শহরের লক্ষ্মীখোল এলাকা থেকে গ্রেফতার হল বহু ঘটনার জন্মদাতা লম্পট এবং বিভিন্ন মানুষের চাকুরীর লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক সুকান্ত মজুমদার(৪৮)। গত ২৩ শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে বসবাসরত সুকুমার মজুমদারের ছেলে সুকান্ত মুজমদার কত যে মুসলিম নারীকে প্রেমের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে পথে বসিয়েছে তার হিসাব নেই। এখানেই শেষ না বিভিন্ন মানুষের চাকুরীর দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সুকান্তের জন্ম নিবাস শৈলকূপা উপজেলার ১০নং বগুড়া ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে।
তাদের একজন ভুক্তভোগী নারী মনোয়ারা খাতুন(৪২)। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মনোয়ারা জানায়, সে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা গ্রামের আক্কাস উদ্দিনের মেয়ে। ২০১০ সালে ঝিনাইদহ শহরের আরাপ পুরে অবস্থিত সেবা ক্লিনিকে চাকুরীর সুবাদে পরিচয় হয় সুকান্তের সাথে। সুকান্ত তাকে জানায় যদি তাকে বিবাহ করি তাহলে সে মুসলমান হয়ে যাবে। তার কথায় তার সাথে ভালবাসার জালে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি।তাদের দুই জনের ভালবাসার সুত্র ধরে ১৩/০৮/২০১৩ সালে তার সাথে একদিন কুষ্টিয়া বেড়াতে নিয়ে যায়। বেড়াতে যেয়ে একটি মন্দিরে নিয়ে জোর করে বিয়ে করে সিঁদুর পরায়ে তার এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে যায়। এছাড়া শাররিক মেলা মেলা মেশায় বাধ্য করে।যার কারণে তাকে স্বামী হিসাবে মেনে নিতে বাধ্য হয়। কিন্ত সে আর মুসলিম হয় না।ঘটনার পর তারা ঝিনাইদহ শহরের বসবাস শুরু করে। বিভিন্ন ভাবে সে মেয়েটির নিকট থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
ঘটনায় পর ২০১৪ সালের মেয়েটিকে করাতি পাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে যেয়ে সুকান্তের মা,বাবা,মামা থেকে জোর করে একটি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। তখন জানতে পারে তার বউ এবং ২ ছেলে মেয়ে আছে। তারপর তার সাথে এক বছর মেয়েটির আর সম্পর্ক ছিল না। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ৬ তারিখে আবার তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। আবার তারা সাথে বসবাস শুরু করে। ২০১৬ সালের দিকে তাদের ঘরে একটি ছেলে হয়। ছেলে জন্মের পর লম্পট সুকান্ত আবার তার সাথে খারাপ আচারন শুরু করে এবং ২ লক্ষ টাকা দাবী করে সেই টাকা দিতে পারছে না বলে জানায়। মেয়েটি জানায় আমি মুসলিম ও হিন্দু আজ আমার ছেলের কি ধর্ম হবে ? ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি সেই মামলায় সুকান্ত কে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ।