ঝিনাইদহের উন্নতি খাতুন দেশসেরা কিশোরী ফুটবলার
ঝিনাইদহের চোখঃ
২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিয়েছিলেন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার দোহারু গ্রামের উন্নতি খাতুন নামের এক কিশোরী। তখন তিনি সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে। খেলেছিলেন দোহারু সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে।
ঠিক তিন বছর পর আজ (শনিবার) আবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিলেন সেই উন্নতি খাতুন। এবার তিনি খেলেছেন খুলনা বিভাগীয় দলে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে।
তার দুর্দান্ত নৈপূণ্যেই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা বিভাগ। উন্নতি খাতুন কেবল টুর্নামেন্টসেরাই হননি, হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও।
কিশোরীদের ফুটবল টুর্নামেন্টে উন্নতি খাতুন আলো ছড়িয়েছেন ধারাবাহিকভাবেই। এই টুর্নামেন্টেই ফাইনালছাড়া বাকি সব ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া এ কিশোরীর হাতেই তো টুর্নামেন্টসেরা পুরস্কারটি মানায়। গোল্ডেন বুট আর গোল্ডেন বল হাতে তাইতো বেশি চওড়া ছিল উন্নতির হাসিটিই।
শৈলকুপার দোহারু গ্রামের কৃষক বাবা আবু দাউদ এবং গৃহিনী মা হামিদা খাতুন দম্পতির ৭ সন্তানের ষষ্ঠ উন্নতি। ভর্তি হয়েছেন বিকেএসপিতে। তবে এর আগেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলেও অভিষেক হয়েছে তার।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করায় বড় ভূমিকা রেখে এবং নিজে দুটি ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতে দারুণ খুশি শৈলকুপার এই কিশোরী। দুটি পুরস্কার হাতে শুধু এতটুকুই বললেন, ‘আমি বেশি খুশি দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। এভাবে ২০১৭ সালেও আমি দোহারু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে চ্যাম্পিয়ন করাতে পেরে ভালো লেগেছিল। আজও লাগছে। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
মেয়েদের বিভাগে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন খুলনা বিভাগের স্বর্ণা রানী মন্ডল। আর টুর্নামেন্টসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন ঢাকা বিভাগের সুস্মিতা বনিক।
বালক বিভাগের ফাইনালসেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন বরিশালের রাব্বী, সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন চট্টগ্রামের আজগর শাহীন এবং টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন বরিশালের মাইনুল ইসলাম।