ক্যাপসিকাম চাষে সফল ঝিনাইদহের মিন্টু মিয়া
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে প্রথম এক একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে বানিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছেন আলমগীর কবির ওরফে মিন্টু মিয়া নামের এক কৃষক। তিনি জেলার মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর মাঠপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে। গোপালগঞ্জ জেলার তার এক মামা সুলতান মাহমুদের প্রেরনায় প্রথমবারের মতো ঝিনাইদহে এই আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে বাগানের ফল বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।
আলমগীর কবির ওরফে মিন্টু জানান, তারা মামা সুলতান মাহমুদের সহযোগিতায় গত বছর বীজ সংগ্রহ করে সেপ্টেম্বর মাসে মাঝামাঝিতে বীজ তলায় বীজ ছিটান এবং নভেম্বরে জমি তৈরি করে বিশেষ পেপারে মালচিং তৈরি করে এক একর জমিতে ১ হাজার ৫শ’ চারা লাগান। সেখান থেকে কিছু গাছ মারা যায়। আর বাকিগুলো থেকে ফল সংগ্রহ চলছে। গাছ থেকে ফল উঠিয়ে প্যাকেজিং এর মাধ্যমে ঢাকাতে পাঠান। সেখানে পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ১৩০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও প্রতি গাছে প্রায় ১২-১৫টি করে ফল আছে। ৫-৬টি ফলে এক কেজি হচ্ছে। গাছ লাগানোর দুই মাস বয়সে ক্ষেত থেকে ক্যাপসিকাম তোলা শুরু এবং প্রায় চার মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। তার এই নতুন ফসল দেখতে পাশর্^বর্তি এলাকা থেকে চাষিদেও আগমন ঘটছে। তিনি আরও বলেন, এক একর জমিতে ফল সংগ্রহের আগ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে। ক্ষেতে যে পরিমান ফল আছে আরও ৬ লক্ষাধিক টাকার বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এবিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারনের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, তিনি নিজেও ক্ষেতটি দেখেছেন। আগামীতে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই চাষ বাড়াতে পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার কৃষককে ক্ষেতে এনে উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ। ক্যাপসিকাম চাষে ঝিনাইদহের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। ক্যাপসিকাম শীতকালে আবাদ করা হয়। তাই দোকামাকড়ের আক্রমন কম হয়। এসময় এফিডজ্যাসিড জাতীয় কিছু পোকা আক্রমন কওে থাকে। বিষমুক্ত রাখতে এই পোকা দমনে এখানে ইয়োলো ও বøু রঙের বিশেষ ট্রাপ ব্যবহার করা হয়। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযোগী।#