ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান ইমেরিটাস অধ্যাপক সুলতানা জামান আর নেই
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সুলতানা সারওয়াত আর জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকেলে বনানীতে বড় মেয়ের বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
সুলতানা জামান মহান মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামানের স্ত্রী, সংস্কৃতিজন লুবনা মারিয়াম ও নায়লা খানের মা এবং কণ্ঠশিল্পী আনুশেহ আনাদিলের নানি।
বনানীর ডিওএইচএসে জানাজার পর রোববার রাতে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। কানাডা থেকে তাঁর ছোট মেয়ে লুবনা মারিয়াম বলেন, ‘মা বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় কোনো কষ্ট না পেয়েই চলে গেলেন তিনি।’
সুলতানা জামান ১৯৩২ সালের ৯ জুন ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে তিনি সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
সুলতানা জামান ১৯৭২ সালে ছিন্নমূল শিশু ও নারীদের সেবার লক্ষ্যে মালিবাগের গুলবাগে দীপশিক্ষা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে সোসাইটি ফর দ্য কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ফর মেন্টালি রিটার্ডেড চিলড্রেন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তী সময়ে সুইড বাংলাদেশ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন।
সুলতানা জামান ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্পেশাল এডুকেশন বিভাগ চালু হয়।