করোনা ভাইরাস রূপ পাল্টেছে ১২৮ বার, জানালেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা
ঝিনাইদহের চোখঃ
বিশ্বজুড়ে ত্রাস তৈরি করা করোনাভাইরাস বার বার নিজের রূপ পরিবর্তন (মিউটেশন) করছে। এই রূপান্তরের কারণেই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিস্কার কঠিন হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ভাইরাসটির ১৯৮টি মিউটেশন চিহ্নিত করেছে। খবর বিবিসির।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সব ভাইরাসেরই রূপান্তর হয়। সাধারণত একটি ভাইরাস রূপ পাল্টাতে বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি এক দেহ থেকে আরেক দেহে
দ্রুতগতিতে ছড়াতে থাকার মধ্যেই নিয়মিত নিজে নিজে তার জেনোমের প্রকৃতি পরিবর্তন করতে থাকে- যাকে বলে মিউটেশন বা রূপান্তর।
করোনা ভাইরাসের ১৯৮টি মিউটেশন চিহ্নিত করার পর এ গবেষণার অন্যতম নেতা অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালো বলছেন, ‘মিউটেশন মানেই যে খারাপ কিছু তা কিন্ত নয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস মিউটেশনগুলোর বেশিরভাগই নিজেকে শক্তিশালি করে তুলছে এবং আরো বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠছে।
তিনি বলেন, করোনার দ্রুত মিউটেশনই টিকা আবিষ্কারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ভাইরাসের গঠনে সামান্য পরিবর্তনগুলোর ওপরও নজর রাখা দরকার । যেমন ফ্লু ভাইরাসে এত দ্রুত মিউটেশন হয় যে প্রতি বছরই ভাইরাসের নতুন প্রকৃতি অনুযায়ী টিকায় কিছু পরিবর্তন করা হয়।
ব্রিটিশ গবেষকরা জানান, বর্তমানে কোভিড-১৯ এর যে টিকাগুলো তৈরি হচ্ছে তাতে ভাইরাসের গায়ের কাঁটাগুলোকে টার্গেট করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনটি মানুষের দেহকে এই কাঁটাগুলোর একটা অংশ চিনিয়ে দেবে– যাতে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু এই কাঁটাগুলো যদি বদলে যায়, তাহলে টিকার কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত এগুলো হচ্ছে তাত্ত্বিক কথা। আসলে ভাইরাসের জেনোমের পরিবর্তনগুলোর মানে কী- তা বলার মতো যথেষ্ট তথ্য এখনো তাদের হাতে নেই।
গবেষকরা আরো দেখেছেন যে, যুক্তরাজ্যের শেফিল্ডে যারা এই বিশেষ মিউটেশনে আক্রান্ত হয়েছেন– তাদের নমুনায় বেশি পরিমাণে ভাইরাস দেখা যাচ্ছে কিন্তু তাতে যে তারা বেশি অসুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতালে বেশি দিন ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই।