মহেশপুর দত্তনগর খামারে টেন্ডার ছাড়ায় আড়াইশো একর জমির খড় বিচালী বিক্রির অভিযোগ
জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
বৃহত্তম এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় কৃষি বীজ উৎপাদন দত্তনগর খামারে চলতি বোরো মৌসুমের প্রায় ৩শ একর জমির খড় বিচালী কোন কোটেশন বা টেন্ডার ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে স্বমুদ্বয় টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিএডিসির মথুরা খামারের ডিডি মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বিএডিসির চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমতি ছাড়াই ফার্মের কোন বীজ বা খড় বিচালী কোন রকম কারো নিকট বিক্রি করার নিয়ম নেই। কিন্তু অসৎ পথে টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দ্যোশে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর মথুরা খামারের উপ-পরিচালক (ডিডি) মুজিবর রহমান কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে কোন কোটেশন বা টেন্ডার ছাড়াই ফার্মের আওতাধীন প্রায় ৩শ একর জমির খড় বিচালী অবৈধভাবে ১০/১২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে সম্পূর্ণ আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও গণ-মাধ্যমে ফাঁস হলে ডিডি মুজিবর রহমান ব্যাপক দৌড় ঝাপ শুরু করে। বিএডিসির নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে উক্ত ডিডি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার উদ্দ্যেশে কথিত গন-মাধ্যম কর্মী ও এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে গত ৮জুন ফার্মে এক ভুড়িভোজের আয়োজন করে।
দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের আওতাধীন প্রায় ৩ হাজার একর জমির উপর মোট ৫টি বীজ উৎপাদন খামার ও একটি হিমাগার গোডাউন রয়েছে। কর্পোরেশন (বিএডিসির)এর মাধ্যমে এখানে ধান, ভুট্টা, আলু, গম, শাক-বীজ সহ শস্যবীজ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এছাড়া অফিস, বাসভবন, বাগান, পুকুর ও গরুর খামার সহ বিশাল অব কাঠামো রয়েছে। তবে এখানে এক যুগ্ন পরিচালক সহ ৫ খামারে ৫ উপ-পরিচালক ও একজন হিমাগার উপ-পরিচালক ও ম্যানেজার সহ বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার কথা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ধান বীজ আত্মসাতের দায়ে ৫ খামারের ৫ উপ-পরিচালক (ডিডি) সহ বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাময়ীক বরখাস্ত হয়। বরখাস্তকৃত স্থানে মথুরা ফার্মে ডিডি মুজিবর রহমান যোগদান করে তার রেশ যেতে না যেতেই তিনি টেন্ডার বিহীন প্রায় ৩শ একর জমির খড় বিচালী বিক্রি করলেন।
এবিষয়ে মথুরা ফার্মের ডিডি মুজিবর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ধান সংগ্রহ করার পর খড়-বিচালী মাঠে পড়ে থাকে এগুলি আমরা বিক্রি করি না। সাধারন মানুষ এগুলো একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এগুলো বলা হচ্ছে। বর্তমানে যুগ্ন পরিচালকের দায়িত্বে কেউ না থাকায় হেড অফিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিএডিসির চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলামের সাথে অফিস নাম্বারে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
বিএডিসির মহা ব্যবস্থাপক(তদন্ত) মেরিনা শারমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মহা ব্যবস্থাপক (বীজ) এসএম আলতাফ হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।