হরিনাকুন্ডু দারিয়াপুর প্রাঃ বিঃ প্রঃ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনলেন ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, প্রাইমারি শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (পিইডিপি) মেরামত কাজ, স্কুলের বেঞ্চ বিক্রিসহ নানা বিধ অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে চলেছেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি এই অনিয়ম শুরু করেন।
এছাড়াও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অতি দ্রæত পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন, বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের তদন্ত করে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ড্যানি আহমেদ জানান, কাজের যে বরাদ্ধ এসেছিল তা প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান নিজে ব্যাপক অনিয়ম করে আমার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও তিনি স্কুলের ৪৫ টি বেঞ্চ এর লোহা বিক্রি করে কমিটির কাউকে না জানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমানকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কাপাসাটিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য সোলাইমান হক উথান অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান স্কুল মেরামতের কাজ সিডিউল অনুযায়ি করেনি। এছাড়াও নিজের অপকর্ম ঢাকতে তার পছন্দের কমিটি গঠনের জন্য একের পর এক এমপি মহোদ্বয়ের ডিও লেটার নিয়েও বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে চলেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান শিক্ষকের এই অনিয়ম দূর্ণীতিতে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমানের কাছে তার অনিয়ম দুর্ণীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, স্কুলের কাজ ঠিকমত হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সুবিধা বঞ্চিতরা আমার বিরুদ্ধে নানা জায়গায় মিথ্যাচার করছে।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।