ঝিনাইদহে পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনের করোনায় মৃত্যু
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সদর পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত টাউন সাব ইন্সেপেক্টর ( টিএসআই) মো: শরিফুল ইসলাম( ৫৫) মৃত্যু বরণ করেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা পোনে ৩টার দিকে মারা যান তিনি। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত দলিল উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে তিনি। গত ৯ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতাল( শিশু হাসপাতাল) ভর্তি হন। সেই থেকে চিকিৎসা চলছিল তার। স্ত্রী সাথী খাতুন ৩ মেয়ে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। অন্য মেয়ে একজন কলেজ এবং অপরজন স্কুলে লেখা পড়া করে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান পিপিএম সহ সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, সহ-সভাপতি আব্দুল হাই, সহ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ মুত্যুর বিষয়ে ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতালের প্রধান মেডিসিন বিষেশজ্ঞ ডা: জাকির হোসেন জানান, পুলিশের এ কর্মকর্তা সকলেও সুস্থ্য ছিলেন এবং আগামীকাল ২৫ জুলাই হাসপাতাল ত্যাগ করার কথা ছিল তার। দুপুরের দিকে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এটা করোনার নতুন রুপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঝিনাইদহ কোভিড হাসপাতালের প্রধান আরো জানান, স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করা অর্থে হাসপাতালটিতে একটি অত্যাধুনিক সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এত দিন অনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধনের জন্য সেটি চালু করা হয়নি। সুস্থ্য হওয়া রোগীর হঠাৎ করে মত্যুর ঘটনার পর পরই বিশেষ সভা ডেকে সদ্য স্থাপিত ওই অক্সিজেন প্লান্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।চিকিৎসাধীন আরো ৫/৬ জনের অবস্থার অবনতি ঘটেছে বলে স্থানীয় কোভিড হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।
একই হাসপাতালে সকালের দিকে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হযেছে। এছাড়াও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান স্থানীয় কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকাতে যান। সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং আজ শুক্রবার ভোরে মৃত্যু বরণ করেন। অর্থাৎ আজ শুক্রবার জেলায় এক দিনে মারা গেলেন ৩ জন।