অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা। খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু ভিড় জমান সেখানে। খেলার মাঠ পরিণত হয় এলাকার মানুষের মিলন মেলায়। বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে আর মানুষকে বিনোদন দিতেই এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। আর প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি দর্শকদের।
বাজছে ঢাক, ঢোল আর কাসার ঘন্টা। তালে তালে উৎসুক জনগণের আনন্দ দিতে চলে নৃত্য। এর পরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা আর প্রতিপক্ষকে কাবু করার জন্য মেতে ওঠেন লাঠিয়ালরা। আর এই নির্মল আনন্দ উপভোগ করেন শত শত দর্শক। হাততালিকে মুখরিত হয়ে ওঠে খেলার স্থান। গ্রামবাসীর আয়োজনে এমনই এক আসর বসেছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে।
যা উপভোগ করতে ফুলহরি ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসে শত শত মানুষ। জায়গা না পেয়ে কেউবা গাছের ডালে আবার কেউবা বাশঝাড়ে উঠে খেলা উপভোগ করেন। বর্তমান যুব সমাজকে অপরাধের হাত থেকে দুরে রাখতে আর গ্রামীন ঐতিহ্য তাদের সামনে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত চান দর্শকরা।
খেলার আয়োজক শাকিল আহম্মেদ বলেন, হারানো ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, সমাজ থেকে মাদক ও বিভিন্ন অপরাধ দুরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়রা বলেন, মানুষকে খেলা দেখিয়ে আনন্দ পান তাই গ্রাম-গ্রামান্তরে ছুটে আসেন খেলা দেখাতে।
দিনভর এ খেলায় অংশ নেয় ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলার ১২ টি লাঠিয়াল দল। সকলকে হারিয়ে প্রথম হয় শৈলকুপার মির্জাপুর গ্রামের দুলালের দল।