আগে কেটেছে পটলের ক্ষেত পরে পেয়ারাবাগান, এবার পুকুরে বিষ
ঝিনাইদহের চোখ-
দুর্বৃত্তরা আগে কেটেছে পটল ক্ষেত। এরপর বিনষ্ট করেছে পেয়ারাবাগান। সর্বশেষ শনিবার রাতে পুকুরে বিষ দিয়ে নিধন করল প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ। এভাবে রাতের আঁধারে একের পর এক ফসল বিনষ্ট ও মৎস নিধনের ঘটনায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের এখন প্রায় সর্ব্বশান্ত।
পুকুরে বিষ দেওয়ার ঘটনায় শনিবার সন্দেহভাজন ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষক কাদের।
তিনি জানান, ৫ মাস আগে দুর্বৃত্তরা তার ১০ কাঠা পটলের ক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে। এর ৩ মাস পরে ২৮০টি পেয়ারা গাছ কেটে বিনষ্ট করেছিল।
নিয়ামতপুর গ্রামের সরোয়ার মেম্বারের ছেলে আব্দুল কাদের তার দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার বাড়ির পাশেই একটি মৎস পুকুর আছে। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রতিপক্ষরা রাতের আঁধারে তার পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ নিধন করেছে।
কাদেরের দাবি, সামাজিক বিরোধের জের ধরেই তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আলম, কুদ্দুস, শহিদ, আয়ুব, সোলাইমান ও আশরাফুল গং পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের কাজে জড়িত থাকতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে ওই ৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনি কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ আলী জানান, প্রাথমিক তদন্তে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের সত্যতা পাওয়া গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ওই এলাকায় দুটি পক্ষের বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ মূল রহস্য উন্মোচন করে শিগগির ব্যবস্থা নেবে।