গলদা চিংড়ি চাষে ঝিনাইদহের স্বপনের ব্যাপক সাফল্য
তারেক মাহমুদ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল হয়েছেন মাছচাষি স্বপন কুমার বিশ্বাস। জেলায় প্রথম তিনি পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৮০ শতাংশ জমির ৬৬ শতক জলাকর এলাকায় ৩২০০ রেণু গলদা চিংড়ির চাষ করেন। সাত মাস পর এখন ৮-৯ টি চিংড়িতে এক কেজি হচ্ছে। এক কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। সফল এই মাছচাষি স্বপন কুমার বিশ্বাসের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এক নম্বর সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে। এ ছাড়া সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট থেকে রেণু গলদা চিংড়ি আনা হয়। সাত মাসে মাছের খাবার ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। পুকুরে যে চিংড়ি আছে, তা ৩০০ কেজির ওপর হবে। সেই হিসাবে চিংড়ি বিক্রি করা যাবে তিন লক্ষাধিক টাকা।
চিংড়ি চাষের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি জানান, পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস আর অক্সিজেন ঠিক রাখতে হয়। আর রাতে শিয়ালের উপদ্রব ঠেকাতে পারলে চিংড়ি চাষ লাভজনক করা সম্ভব। সফল এই মাছচাষি এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ক্ষেত্র সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। এখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আছেন। একই উপজেলায় বাড়ি হওয়ায় তিনি সহজেই গ্রামের বাড়িতে গলদা চিংড়ির চাষ করার সুযোগ পেয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুলস্নাহ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান রেজা জানান, ঝিনাইদহের আবহাওয়া এবং পানি গলদা চাষের জন্য উপযুক্ত। এই এলাকার চাষিরা যদি গলদা চাষ শুরু করেন, তাহলে জেলার কৃষকরা একদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, অন্যদিকে দেশীয় মাছের চাহিদা পূরণে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। স্বপনের চিংড়ি চাষ সম্পর্কে বলেন, কালীগঞ্জ মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারিগরি সহযোগিতা করা হয়েছে।