ঝিনাইদহের পাতার বাশী বাজানো বিরল প্রতিভার মকলেচুর রহমান
শেখ ইমন, ঝিনাইদহের চোখ-
দিন আনা দিন খাওয়া সংসার মকলেচুর রহমানের। বিভিন্ন জমিতে কামলা খাটেন। মনের শখেই বাশি বাজানো । ৪০টি বছরের বেশী সময় ধরেই বাজাচ্ছেন পাতার বাশি। যে কোন গাছের পাতা দিয়েই যখন তখন বাজান বাশি। জীবনে তেমন কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই তার। যেখানেই বাশি বাজান জড়ো হয়ে যায় গ্রামবাসী সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকেন তার বাশি বাজানো। গ্রামের সবাই একনামে চেনে মকল্চে বাশিওয়ালা নামে। পুরো নাম মকলেচুর রহমান মকল্চে। বয়স ৫৩ বছর। দিন হাজিরায় যে কোন কাজই করেন। বাড়ী ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের হঠাৎ পাড়া গ্রামে। মৃত বাবর আলী মন্ডলের ছেলে তিনি।
স্ত্রী চায়না খাতুন জানান, অসংখ্য ভালবাসায় শিক্ত হয়েছেন এই মানুষটি। অনেকে আবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দিন আনা দিন খাওয়া এই মানুষটি কামল খেটেই চালাতে হয় স্বামী স্ত্রীর সংসার । ৩ ছেলে ১ মেয়ের সবাই আলাদা।
মকলেচুর রহমানের বড় ভাই আসিরউদ্দীন মন্ডল জানান, এ পাতার বাশী বাজান দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে। যখন মনে হয়, যেখানে ইচ্ছে হয়ে সেখানেই যে কোন গাছের পাতা ছিড়ে শুরু করেন বাশি বাজানো।
এলাকাবাসী ও সাংবাদিক আহসান কবির জানান, পাতা দিয়ে হাতে না ধরে এমন বাশিওয়ালা আমরা আগে আর দেখিনি। আমরা যখনই তার বাশি শুনি সে হোক রাত কিংবা দিনে দাড়িয়ে শুনতে থাকি। এমন বিরল প্রতিভার মানুষটিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে ভালো হয়।
মকলেচুর রহমান মকল্চে জানান, পাতার বাশি বাজানোর কারনে সবাই আমাকে ভালবাসে। এই ভালবাসার মধ্যেই আমি বেঁচে থাকতে চাই। গ্রামে গঞ্জে যেখানে অনুষ্ঠান হয় সেখানেই সুর শুনতে ছুটে যায়। সুরের মধ্যে আমি আমার জীবন খুজে পেয়েছি তাইতো সুরকে নিয়েই বাঁচতে চাই। ছোট বেলা থেকে সুরের প্রতি ভালবাসার টানেই পাতার বাশি বাজিয়ে চলেছি।