একদিন চলে যাব আমি—মোঃ ইলিয়াস হোসেন
ঝিনাইদহের চোখ-
একদিন চলে যাব আমি
কোন সে অজানায়,
কেউ জানবে না, কেউ চিনবে না
অজান ঠিকানায়।
এই আমাকে ভুলেও কেহ
বলবে না হেথা ছিলাম,
এ ধরনীর তরে আমি
কিই বা করে গেলাম!
আমার স্মৃতি হারিয়ে যাবে
হাজার ভীড়ের মাঝে,
কেউ নিবে না আমার খবর
জানবে না কেউ খুঁজে।
কি লাভ হলো শুধু শুধু ই
আসা আর যাওয়ায়,
লাভ কী হলো সংসার মোহে,
আনন্দের গান গাওয়ায়!
দিবানিশি যাদের লাগি
সোনার কাঁয়া মাটি,
কেউ নিবে না আমার খবর
সে কথাটা খাঁটি।
সুখের লাগি ঘর সাজালাম
মরুর বালুর পর,
সে ঘর ভাঙিবে এক নিমেষে
লেগে দারুণ ঝড়।
হায়রে বোঁকা এমনই আমি
দেখলাম না তা বুঝে,
নিজ ভালো পাগলে ও জানে
আমি দেখিনি খুঁজে।
আপন আপন ভাবলাম যাহা
কিছুই আপন না,
এ সকলই মিছে মায়া
কেবল মিথ্যা ছলনা।
সেই ভূলনে ভূলে কেবল
রইলাম আমি মেতে,
চড়লাম কেবল নাগোর দোলায়
নিশির স্বপন রথে।
কল্পলোকের কল্পনাতে
সাজাইলাম সিংহাসন
এখন দেখি রঙিন ফানুস
বৃথা অকারণ।
জীবন নদীর তীঁরে বসে
ভাবছি কত কথা,
এ ধরনীতে যা করিলাম
সবই নিছক বৃথা।
ভাবলাম শুধু পরকে নিয়ে
নিজের কাজই ফাঁকা
হাড়ে হাড়ে বুঝছি এবার
আমিই আসল বোঁকা।
তাইতো আমার বেলা শেষে
বুঁঝলাম অবশেষে,
সাধ্যমত কাজ করে যাই
দেশ কে ভালোবেসে।
বিশ্ববাসীর সেবা করে
জাগায় মানবতা,
আমার কাজে বিন্দু হলেই
পাবো ধন্য স্বার্থকতা।
নিন্দুকেরা যে যা বলুক
ভয় করি না কিছু,
দেশের সেবায় সাধ্যমতো
বিনিময়ে চাই না কিছু।
এ দেশেতে জন্মে আমি
এ মাটিতে ঋণী,
দেশ মাতৃকার সেবা করে
শোধতে চাই তা খানি।
আমার ডাকে কেউ না আসুক
চলবো ই আমি একা
সময় নেই তো পিছু টানে
পিছন ফিরে দেখা।