সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’
ঝিনাইদহের চোখ-
টেলিগ্রাম এখন গুগল প্লে স্টোরে বিশ্বের সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ। এটি এখন সবচেয়ে পছন্দের তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটা অ্যানালেটিক্স সংস্থা সেন্সর টাওয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে টেলিগ্রাম ৬ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। ভারতে ডাউনলোড হয়েছে সর্বাধিক ২৪ শতাংশ। এই ডাউনলোডের ফল টেলিগ্রামকে নবম স্থান থেকে গুগল প্লে স্টোরের শীর্ষ অবস্থানে যেতে সহায়তা করেছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে টেলিগ্রাম ছিল বিশ্বের সর্বাধিক ডাউনলোড করা নন-গেমিং অ্যাপ। ২০২০ সালের জানুয়ারির হিসেবে এটি ৩.৮ গুণ বেশি ডাউনলোড হয়েছে। টেলিগ্রাম ইনস্টল করা দেশগুলোর মধ্যে ভারত ছিল ২৪ শতাংশ, তারপর ইন্দোনেশিয়া ১০ শতাংশ।
গত বছরের শেষের দিকে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে নিয়ে আসা হয় নতুন নিয়ম, যা নিয়ে শুরু হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করলে ব্যবহার করা যাবে না মেসেজিং অ্যাপটি। যদিও পরবর্তীতে কঠোর বিতর্কের জেরে জানানো হয়েছিল, কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নতুন নিয়মের বিষয়টি। তারপর থেকেই বিকল্প হিসেবে উঠে আসে টেলিগ্রাম।
সেজিংয়ের আরেক অ্যাপ সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম উভয়ই তাদের পরিষেবায় সর্বাধুনিক অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড অ্যানক্রিপশন বৈশিষ্ট্য থাকার দাবি করেছে এবং এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।
সিগন্যালের নেতৃত্বে আছেন হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাক্টন। সিগন্যালে ভয়েস কলিং, ভিডিও কলিং, স্টিকার ও ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি চ্যাট করা যায় যা অ্যাপলের আইমেসেজের মতো।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত তথ্য নেয়ার পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সিগন্যাল ব্যবহারের অনুরোধ জানান। মাস্ক ৭ জানুয়ারি এ পরামর্শ দেয়ার পর একদিনে মার্কিন শেয়ারবাজারে অ্যাপটির মূল্য ছয়গুণ বেড়ে যায়।
সেইসাথে স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক সিগন্যালে আরো বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি ১১ জানুয়ারি এক টুইটে বলেন, তিনি সিগন্যালে আবারো বিনিয়োগ করবেন। ইতিমধ্যে এক বছর আগে সিগন্যালে দান করেছি। আরো দান করবো। -ইউএনবি